পরবর্তীতে আরও কড়া নির্দেশিকা জারি করা হয় বলে সূত্রের খবর। সরকারি কর্মীদের হাজিরা ৪ বার খতিয়ে দেখে রিপোর্ট পাঠানোর নির্দেশ জারি হয়। এই নিয়ে দিনভর ছিল টান টান উত্তেজনা।
বিভিন্ন জায়গার পাশাপাশি ধর্মঘটের মিশ্র ছবি দেখা যায় রায়গঞ্জেও। বিভিন্ন দফতরে যখন কর্মীদের উপস্থিতি কম তখন তার বিপরীত চিত্র লক্ষ্য করা যায় রায়গঞ্জ ব্লকের মধুপুর উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে। এই কেন্দ্রের চতুর্দিকে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে ডাকা ধর্মঘট সফল করার পোষ্টার সাঁটা হলেও এদিন কর্মীদের হাজিরায় কোনও পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়নি।
সকাল থেকেই এই উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে কর্মীরা সমান ভাবেই আসেন এবং পরিষেবা দেন সাধারণ মানুষকে। স্বাস্থ্যকর্মীরা জানান, DA তাদের নৈতিক অধিকার। এটা কোনও দয়া বা দান নয়। সেদিক থেকে তারা এই ধর্মঘটকে নৈতিক সমর্থন জানিয়েছেন।
পাশাপাশি যেহেতু তারা স্বাস্থ্যের মত জরুরি পরিষেবায় যুক্ত সেই কারণে মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে পরিষেবা চালু রেখেছেন। কারণ তারা কেন্দ্রে না এলে বিপাকে পড়বেন মা ও শিশুরা। তাই সেটা কখনই কাম্য নয় বলে দাবী তাদের।
এই বিষয়ে নমিতা ঘোষ নামের এক স্বাস্থ্যকর্মী জানান, “DA-র দাবিতে প্রতিবাদ আন্দোলন চলবে, সরকার যতদিন না প্রাপ্র্য DA দিচ্ছে ততদিন। কিন্তু আমি এমন একটি জায়গায় কাজ করি, যেটা জরুরী পরিষেবার মধ্যে পড়ে। সেখানে আমি কাজ ফেলে বসে থাকতে পারিনা। কারণ আমার এই বসে থাকার জন্য অন্য মানুষ বিপদে পড়তে পারেন, বিশেষ করে শিশুরা। কিন্তু ধর্মঘট ও আন্দোলনের প্রতি আমার পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।”
অন্যদিকে ধর্মঘটের দিনেও পরিষেবা পেয়ে খুশী সাধরণ মানুষ। আরতী বর্মন নামের এক গ্রামবাসী জানান, “প্রথমে ভেবেছিলাম এখানেও হয়ত সব কর্মীরা বনধ পালন করবেন। কিন্তু যেভাবে আজকের দিনের তাঁরা সাধারন মানুষকে পরিষেবা দিচ্ছেন, সেটার প্রশংসা করতেই হবে। সরকারী কর্মীদের ধর্মঘট ও আন্দোলনের জেরে যেন সাধারন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত না হন, তা দেখা উচিত।”