শিক্ষিকাদের উদ্দেশে উদয়নের হুঁশিয়ারি, “আপনারা যা ভালো বুঝছেন, সেটাই করছেন। পরে কোনও সমস্যা হলে আমাদের কিছু বলতে পারবেন না। ভাববেন না যে আপনার যেটা করছেন, সেটাই শেষ কথা।” জবাবে শিক্ষিকারা মন্ত্রীকে বলেন যে তাঁদের সঙ্গে স্কুলে এসে কয়েকজন খারাপ ব্যবহার করেছেন। মন্ত্রীর মতে, “ডিএ পরবর্তীকালে পাওয়া যেতে পারে, কিন্তু স্কুল বন্ধ করে দেওয়া কোনও সমস্যার সমাধান না।”
পরে স্কুলের বাইরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে উদয়ন বলেন, “শিক্ষা ব্যবস্থাকে চালু রাখাই আমাদের উদ্দেশ্য। আমি কলকাতা থেকে সদ্য ফিরের জানতে পারলাম যে দিনহাটার এই স্কুলে শিক্ষিকারা বাইরে বসে পিকেটিং করছেন। ছাত্রীদের ছুটি দেওয়া হয়েছে, এমনকী তাঁদের স্কুলে আসতে নাও করা হয়েছে।”
স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, “১২টা বেজে গেলেও প্রধান শিক্ষিকা এখনও স্কুলে আসেননি। অন্যান্য শিক্ষিকাদের দাবি, খাতা প্রধান শিক্ষিকার কাছে রয়েছে, সেই কারণে তিনি না এলে তাঁর সই করতে পারবেন না। তাহলে প্রধান শিক্ষিকা যখন ছুটিতে থাকেন, তাঁরা কীভাবে সই করেন? এনারা যা ইচ্ছে করছেন।”
উদয়ন বলেন, “ডিএ-র দাবি এনার শুধু বনধ করছেন তাই না, ছাত্রীদেরও জোর করে তাতে সামিল করা হচ্ছে। স্কুলের সব ক্লাসরুম তালাবন্ধ অবস্থায় রয়েছে। পরিকল্পিতভাবে এটা করা হচ্ছে। আমরা ডিআইয়ের সঙ্গে কথা বলব, সরকারিভাবে কী ব্যবস্থা নেওয়া যায় দেখব।”
কেন্দ্রীয় হারে বকেয়া ডিএ-র দাবিতে রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি দফতর, হাসপাতাল ও স্কুল কলেজে ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকারি কর্মীদের ৫৫টি সংগঠনের সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। অন্যদিকে ধর্মঘট করলে সার্ভিস রুল ব্রেকের সিদ্ধান্ত অনড় রাজ্য সরকারও। বিরোধী বিজেপি, সিপিএম ও কংগ্রেসের মতো রাজনৈতিক দলগুলি এই আন্দোলনকে সমর্থন করেছে। আগামী দিনে আন্দোলন আরও বড় আকার ধারণ করে কিনা, সেটাই দেখার।