স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই খোলা যায়গায় বিপুল পরিমাণ জঞ্জাল মজুত করা ছিল। মজুত থাকা জঞ্জালের মধ্যে চামড়া ও রবারও ছিল। এই দিন জঞ্জালের সেই স্তূপে আগুন লাগে। ইএম বাইপাস সংলগ্ন বিস্তীর্ণ এলাকায় কালো ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ে। এই অগ্নিকাণ্ডের কারণে এলাকাবাসী ও আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
আগুন লাগার পর পার্শ্ববর্তী বহুতল থেকে জল ও ফায়ার এক্সিটিঙগুইসার দিনেয় আগুন নেভানোর চেষ্টা করতে থাকেন সেখানকার নিরাপত্তারক্ষীরা। তারপর সেখানে আগুন নেভে। খবর পেয়ে পুলিশও ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয়। প্রাথমিকভাবে অনুমান ওই খোলা জায়গায় চামড়া ও রবারে ছাঁট থাকার কারণে সেখানে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছিল এবং কালো ধোঁয়ায় আকাশ ঢেকে গিয়েছিল। খবর পেয়ে দমকলের একটি ইঞ্জিনও ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। দমকলকর্মীরা সেখানকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছেন।
এলাকায় অনেক গুলি বহুতল ও অফিস থাকার কারণে অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। অফিস থেকে বাইরে বেরিয়ে আসেন অনেকে। শৌভিক পাল নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, “লাঞ্চ সেরে আমি নিচে দাঁড়িয়ে চা খাচ্ছিলাম। হঠাৎ করেই দেখি কালো ধোঁয়ার চারপাশ ঢেকে গিয়েছে। তখনই বুঝতে পারি যে আমাদের অফিসের সামনেই কোথাও আগুন লেগেছে। পাশের বহুতলের নিরাপত্তারক্ষীদের উদ্যোগেই আগুন নিয়ন্ত্রণ এসেছে।”
উল্লেখ্য, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে আনন্দপুরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল। সরস্বতীর পুজোর বিকেলে আনন্দপুরের একটি প্লাস্টিকের গোডাউনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ভিতরে প্রচুর পরিমাণে দাহ্য পদার্থ মজুত থাকার কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। যদিও গোডাউন বন্ধ থাকার কারণে কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিন। তাদের কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে। অন্যদিকে সম্প্রতি বাইপাস সংলগ্ন মেডিকা হাসপাকালে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল। ভিজিটিং আওয়ার্স চলাকালীন আগুন লাগার কারণে রোগী ও তাঁদের পরিজনদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। দমকলের তিনটি ইঞ্জিন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।