এদিন বিরোধীদের উদ্দেশে তৃণমূল নেতা মদন মিত্রের হুঁশিয়ারি, “লোকে ধরে নিচ্ছে অনুব্রত নেই মানে এবারে পঞ্চায়েতে তৃণমূলের পরাজয় ঘটবে। তৃণমূল বীরভূম ধরে রাখতে পারবে না। মনে রাখবেন জ্যান্ত বাঘের থেকে আহত বাঘ আরও ভয়ঙ্কর।”
কেষ্ট মণ্ডলের দিল্লি যাত্রার দিনই সংবাদ মাধ্যমের সামনে বীরভূমে ভোট করানোর ইচ্ছে প্রকাশ করে মদন মিত্র বলেছিলেন, “একটা অনুব্রত না থাকলেও কোনও পরোয়া নেই। একটা অনুব্রত গিয়েছে তো কি হয়েছে আরও হাজারটা মদন মিত্র দেবাংশু তৈরি হয়েছে।” তিনি সরাসরি সংবাদ মাধ্যমে বলেন, আমাকে বীরভূমে ভোট করাতে দিক না, একমাস বীরভূমে থেকে ভোট করাতে রাজি আছি।
এখানেই শেষ নয়, এক দাপুটে নেতার সাম্রাজ্যের দায়িত্ব নিতে চেয়ে আরেক জনপ্রিয় নেতা বলেন, অনুব্রতর জায়গা এদিনে তৈরি হয়নি। কেষ্টর মতো নেতাদের হাতে তৈরি ভূমির গুণ একদিনে নষ্ট হয়নি। এদিন কথা প্রসঙ্গে কামারহাটির বিধায়কের হুঁশিয়ারি, ” আমি অফিসিয়ালি বীরভূম যেতে পারব না কারণ আমি বাইরের লোক। কিন্তু, বীরভূমের বর্ডারের বাইরে বসে চড়াম চড়াম ঢোল বাজাব।”
একইসঙ্গে বিরোধীদের উদ্দেশে মদন মিত্রের বার্তা, ”পার্টি আমাকে দায়িত্ব দিলে আমি কলকাতা থেকে গুড় বাতাস নিয়ে যাব এবং বিরোধীদের পাখার হাওয়াও দিয়ে দেব অনেকদিন হাওয়া খায়নি বিরোধী দল। বীরভূমের মানুষ তৈরী তাদের জবাব দিতে।”
উল্লেখ্য, অনুব্রত মণ্ডলের দিল্লি যাত্রার দিন বীরভূম সহ রাজ্যের একাধিক জেলায় বিরোধীরা আবির উড়িয়ে, ঢাক বাজিয়ে গুড়, বাতাসা, নকুলদানা বিতরণ করেন। বিশেষত বিজেপি দলের সেই উচ্ছ্বাসকেই কটাক্ষ করে মদন মিত্র বলেছিলেন, অনুব্রত দিল্লি গেলেও চিন্তার কোনও কারণ নেই। তৃণমূল রক্তবীজের মতো। একটা নেতা থেকে ১০ নেতা তৈরি হয়। জোড়াফুল শিবিরকে ধ্বংস করা যাবে না।