Purba Medinipur : পুলিশ সুপারের বাংলোয় কর্তব্যরত সাব-ইন্সপেক্টরের রহস্যমৃত্যু, কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা – police sub inspector lost life in police quarters in tamluk


West Bengal News : জেলা পুলিশ সুপারের বাংলোর পাশেই রহস্যজনক ভাবে মারা গেলেন এক পুলিশকর্মী। শুক্রবার সকালে পূর্ব মেদিনীপুর (Purba Medinipur) জেলার তাম্রলিপ্ত পুরসভার (Tamralipta Municipality) পাশে জেলা পুলিশ সুপারের বাংলোর পাশে নিরাপত্তা রক্ষীদের কোয়ার্টারের মধ্যে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায় সাব ইন্সপেক্টর (SI) অরুণ কুমার চৌধুরীকে। দীর্ঘদিন ধরে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় কাজ করে আসছিলেন তিনি। বয়স হয়েছিল ৫৭ বছর।

বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুর জেলারই তমলুক থানার হরিদাসপুর এলাকায়। তাঁর স্ত্রী এবং দুই ছেলে বর্তমান। জেলা পুলিশ সুপারের নিরাপত্তারক্ষীর আবাসন থেকে অরুনবাবুর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে তমলুক থানার পুলিশ।

Nadia News : নাতনির জন্মদিনের আবদার মিটিয়ে আত্মঘাতী দিদা! মর্মান্তিক ঘটনা শান্তিপুরে
তাম্রলিপ্ত গভর্নমেন্ট মেডিকেল কলেজে মৃতদেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। পরিবার ও তাঁর সহকর্মীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরে ওই পুলিশ অফিসার মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। কি কারণে এই আত্মহত্যা তমলুক থানা পুলিশ তদন্ত করে দেখছে।

এর পরিপ্রেক্ষিতে অরুনবাবুর স্ত্রী ও ছেলেদের ভুমিকাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বাড়ি ও অফিসের বাইরে তাঁর সঙ্গে কারোর কোনও ঝামেলা বা লেনদেনের কোনও ব্যাপার ছিল কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। উল্লেখ্য, কর্তব্যরত অবস্থায় পুলিশকর্মীদের রহস্যমৃত্যু বা আত্মহত্যার ঘটনা নতুন কিছু নয়।

North Dinajpur News : নলি কেটে বাবাকে খুন! গ্রেফতার ছেলে
কাজের সূত্রে দিনের পর দিন অনেক সময় পরিবার, বাড়ি, বন্ধু বান্ধবদের থেকে দূরে থাকতে হয় পুলিশ কর্মীদের। অনেক সময় মেলে না পর্যাপ্ত ছুটিও। মাসখানেক আগেই চুঁচুড়ায় পুলিশ কর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল।

ওই পুলিশ কর্মী চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের অধীন কনস্টেবল পদে কর্মরত ছিলেন। চুঁচুড়ায় যে পুলিশ ব্যারাকে ওই কনস্টেবল থাকতেন, সেই ব্যারাকের পাশেই একটি দোকানের চালায় গলায় দড়ি দেওয়া অবস্থায় ঝুলতে দেখা যায় তাঁকে। ওই রহস্যমৃত্যুর ক্ষেত্রেও মৃত্যুর কারণ মানসিক অবসাদ বলে জানিয়েছিল পুলিশ।

এছাড়াও তার কদিন আগেই আসানসোলের রেলের আবাসন থেকে পুলিশ অফিসারের মরদেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। ওই পুলিশকর্মীর সহকর্মীরা আবাসনে তাঁকে খুঁজতে এসে আবাসনের একটি ঘরের ভিতর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করেন। ওই ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠিত হলেও এখনও পর্যন্ত ওই পুলিশকর্মীর মৃত্যুর কারণ রহস্য হয়েই থেকে গিয়েছে।

South Dinajpur News : নেশার টাকা দিতে অস্বীকার মা-র, ‘অভিমানে’ চরম সিদ্ধান্ত যুবকের
সরকারী রিপোর্ট অনুযায়ী, রাজ্যে প্রতিবছর বেশ কিছু পুলিশকর্মীর আত্মহত্যা ও রহস্যজনক কারণে মৃত্যু হয়ে থাকে। এর মধ্যে কতগুলি মৃত্যুর সঠিক তদন্ত হয়ে রহস্য উদঘাটিত হয়, তা নিয়ে প্রশ্ন আছে পুলিশের অন্দরমহলেই।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *