Satyajit Ray Metro Station : ছবির মূল পোস্টার থেকে ম্যুরাল সত্যজিৎ স্টেশন – satyajit ray metro station is decorated with pather panchali poster


কুবলয় বন্দ্যোপাধ্যায়
চলচ্চিত্রের নাম মহানগর। কাঁধে সাইড ব্যাগ নিয়ে প্রত্যয়ী পদক্ষেপে এগিয়ে চলেছেন আরতি-পোস্টারের পরিকল্পনা করেছিলেন পরিচালক নিজেই। ১৯৬৩-র ওই ছবির সেই পোস্টার এ বার দেখা যাবে মেট্রো স্টেশনে। দূরে ঘন কালো ধোঁয়া উড়িয়ে ট্রেন আসছে আর ট্রেন দেখতে ধানখেতের মধ্যে দিয়ে অপু-দুর্গার সেই বিখ্যাত দৌড়-বিশ্ব চলচ্চিত্রে ইতিহাস তৈরি করা পথের পাঁচালির ওই দৃশ্যেরও ম্যুরাল দেখতে পাওয়া যাবে কলকাতা মেট্রোর অরেঞ্জ লাইনে সত্যজিৎ রায় স্টেশনে।

New Garia Metro Station : মেট্রোর মেগা স্টেশন কবি সুভাষ
কালো পশ্চাদপটে সাদায় আঁকা অরণ্যের দিনরাত্রি ছবির পোস্টারও থাকবে। সত্যজিৎ রায়ের বিভিন্ন ছবির মূল পোস্টারের বেশ কয়েকটি ম্যুরাল এবং সত্যজিৎ-সৃষ্ট জনপ্রিয় চরিত্রদের ছবি দিয়েই সাজানো থাকবে এই মেট্রো স্টেশন। মহানগরের সঙ্গেই ‘কলকাতা ট্রিলজি’র প্রতিদ্বন্দ্বী, সীমাবদ্ধ এবং জন-অরণ্যকে বেছে নেওয়া হয়েছে ইএম বাইপাসের হাইল্যান্ড পার্ক এলাকায় তৈরি এই স্টেশনের থিম হিসেবে।

East West Metro : হাওড়া-ধর্মতলা রুটে ট্রেন-মহড়া এপ্রিলেই
সত্যজিৎ রায় ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউটে যাওয়ার জন্যে অরেঞ্জ লাইনের এই স্টেশনেই নামতে হবে। স্টেশনটি সত্যজিৎ রায়ের নামে হওয়ার সিদ্ধান্তের পরেই মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ স্টেশনের অঙ্গসজ্জায় বরেণ্য পরিচালককে বিশেষ সম্মান জ্ঞাপনের পরিকল্পনা করেছিলেন।

Ravenshaw University Film Festival : হিন্দুত্ববাদীদের রোষানলে সত্যজিৎ! ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে ‘পথের পাঁচালি’-‘চারুলতা’ দেখানোয় আপত্তি
কলকাতা মেট্রোর মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, ‘পরিকল্পনা হয়েছিল ওঁর কয়েকটি ছবির মূল পোস্টারের ম্যুরাল তৈরি করা হবে। এর জন্যে সন্দীপ রায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করি। আমরা ওঁর কাছে কৃতজ্ঞ। যেমন যেমন আবদার করা হয়েছে, তার সবটাই উনি পূরণ করেছেন।’ পথের পাঁচালি, মহানগর, প্রতিদ্বন্দ্বী, সীমাবদ্ধ এবং জন-অরণ্য ছবির পোস্টার থেকে তৈরি ম্যুরালের সঙ্গেই স্টেশনে দেখা যাবে সত্যজিতের অমর সৃষ্টি প্রফেসর শঙ্কু ও ফেলুদার গল্পের বিভিন্ন দৃশ্যও।

Kolkata Metro Timing On Holi : দুপুরের আগে মিলবে না মেট্রো, দোল-হোলিতে দমদম-কবি সুভাষ রুটে বড় বদল
যাত্রীস্বাচ্ছন্দ্য এবং যাত্রী-সুরক্ষার ক্ষেত্রেও বিশেষ ব্যবস্থা থাকছে এই স্টেশনে। এখানে প্ল্যাটফর্ম দু’টি। প্ল্যাটফর্মগুলি ১৮০ মিটার দীর্ঘ। স্টেশনে প্রবেশ-প্রস্থানের জন্যে আটটি চলমান সিঁড়ি, চারটি লিফটের সঙ্গেই থাকছে আরও ছ’টি সিঁড়ি। গোটা স্টেশন এমন ভাবে তৈরি হয়েছে যাতে দৃষ্টিহীনদের কোনও অসুবিধা না হয়। স্টেশনে রয়েছে পর্যাপ্ত সংখ্যক টিকিট কাউন্টার, বসার ব্যবস্থা, মহিলা-পুরুষ ও বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্নদের জন্যে পৃথক শৌচাগার, ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ড এবং পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেম। মেট্রোর অন্য স্টেশনগুলির মতো এই স্টেশনটিও ক্লোজ-সার্কিট টিভির নজরদারিতে থাকবে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *