হাওড়া-শিয়ালদায় ধুন্ধুমার
শিয়ালদা স্টেশন চত্বর থেকে SFI কর্মীদের একটি মিছিল বিধানসভা অভিমুখে রওনা দিয়েছিল। মিছিল করতে বাধা দেয় পুলিশ। তাঁদের সঙ্গে তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়ে বাম ছাত্র যুবরা। তারপরই ধুন্ধুমার কাণ্ড বাধে। মিছিল এগোতে গেলেই একাধিক ছাত্র নেতা ও কর্মীকে আটক করে পুলিশ। প্রিজন ভ্যানে তাঁদের লালবাজারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হয়। SFI কলকাতা জেলার সভাপতি ও সম্পাদক দেবাঞ্জন দে এবং মহম্মদ আতিফও আটক।
যদিও আটক হওয়ার পরও SFI কর্মীদের দাবি, মিছিলের অনুমতি না দিয়ে, আগে থেকে আটক করেও আন্দোলন দমানো যাবে না। SFI-এর বিধানসভা অভিযান হবেই। আটক এক SFI নেতা বলেন, “পুলিশ তোমার ডিএ বাকি, আমাদের সঙ্গে বিধানসভা অভিযানে হাঁটবে না কি?”
একই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে হাওড়া ব্রিজ সংলগ্ন এলাকাতেও। হাওড়া স্টেশন থেকে মিছিল ব্রিজে ওঠার মুখেি আটকে দেয় পুলিশ। আটক করা হয় SFI যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দীপ্সিতা ধর সহ একাধিক SFI কর্মীকে। SFI-এর এই বিধানসভা অভিযান আটকানোর জন্য বিশাল পুলিশ বাহিনী নামিয়েছে লালবাজার। নামানো হয়েছে ব়্যাফ। মিছিল এগোলেই শুরু হচ্ছে ধর পাকড়ের প্রক্রিয়া। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্যই এই মিছিল করার অনুমতি দেওয়া হয়নি বলে বারবার জানাচ্ছে পুলশ। অথচ নিজেদের অবস্থানে অনড় রয়েছে SFI-ও। যে কোনও মূল্যে বিধানসভা অভিযান হবেই। ফলে কর্মী সমর্থকদের ছত্রভঙ্গ করা হলেও বারবার তাঁরা আবার জমায়েত করছেন।
কোন পথে বিধানসভা অভিযান?
SFI-এর পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী, এদিন দুপুর ২টো নাগাদ হাওড়া ও শিয়ালদহ স্টেশন থেকে দু’টি মিছিল বিধানসভার উদ্দেশ্যে রওনা দেবে। শুধু কলকাতা নয়, শহরতলি থেকেও কর্মী সমর্থকরা এই মিছিলে হাঁটবেন। বিভিন্ন জায়গায় ব্যারিকেড করে মিছিল আটকানোর জন্য প্রস্তুত পুলিশও। সে ক্ষেত্রে পুলিশের এই সক্রিয়তার জন্য পরবর্তীতে SFI তাদের মিছিলের গতিপথ পরিবর্তন করবে কি না, তা এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি।