West Bengal School: স্কুলের মিড ডে মিলের ঘরের সামনে বিড়ি-সিগারেট বিক্রি, দত্তপুকুরে শোরগোল – one person allegedly gives tea stall inside of duttapukur mahesh vidyapith


স্কুলের মধ্যেই রমরমিয়ে চলছে চা,বিড়ি সিগারেটের ব্যবসা! শুক্রবার এমনই চাঞ্চল্যকর চিত্র দেখা গেল দত্তপুকুর মহেশ বিদ্যাপীঠ উচ্চ বিদ্যালয়ে। এদিন কেন্দ্রীয় হারে DA-র দাবিতে রাজ্যজুড়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিলেন সরকারি কর্মীরা। সেক্ষেত্রে স্কুলের শিক্ষকরা কি DA নিয়ে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন? তা জানতে এই সময় ডিজিটাল-এর ক্যামেরা পৌঁছে গিয়েছিল সংশ্লিষ্ট স্কুলে।

Junior High School : ক্লাসরুম আছে, ছাত্র-ছাত্রী নেই! বন্ধের মুখে দক্ষিণ ২৪ পরগনার স্কুল
কিন্তু, সেখানে গিয়ে দেখা গেল সম্পূর্ণ অন্য চিত্র। বিদ্যালয় প্রাঙ্গণের মধ্যেই মিড ডে মিলের ঘর। সেখানে চায়ের সরঞ্জাম রয়েছে। শুধু তাই নয়, দীর্ঘদিন ধরেই এই ঘরের সামনে রয়েছে চায়ের দোকান। একইসঙ্গে বিড়ি সিগারেট সবই মজুত থাকে সেখানে। কাশিমপুর পঞ্চায়েতের পরিষদীয় দলনেতা অমল কুমার বিষ্ণু জানান, দীর্ঘদিন ধরেই এই চা-বিড়ি বিক্রি প্রতিবাদ করছিলেন অনেকেই। এর আগে তিনি এবং এই অঞ্চলের অন্যান্য নেতৃত্বরা স্কুল প্রাঙ্গনে এই দোকানে চা, বিড়ি, সিগারেটের বিক্রি প্রসঙ্গে অভিযোগ জানিয়েছিলেন প্রধান শিক্ষকের কাছে, দাবি এই নেতার।

Nadia News : মামার বাড়িতে রং খেলতে এসে মর্মান্তিক ঘটনা, গেটের স্ল্যাব চাপা পড়ে মৃত্যু স্কুল ছাত্রের
কে চালাচ্ছেন এই দোকান?
এই দোকানটির দেখভাল করেন গোপাল নামক এক ব্যক্তি। তাঁকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, “এখানে শিক্ষকদের জন্য চায়ের দোকান করেছি। তাঁরাই চা খান।” কিন্তু, প্রশ্ন উঠছে যেখানে রাজ্য সরকারের মিড ডে মিল স্কিমে বলা হয়েছে বিদ্যালয়ের ভিতরে কোনও খাবারের দোকান করা যাবে না, সেক্ষেত্রে কেন মিড ডে মিলের ঘর দখল করে দিনের পর দিন চা-সিগারেটের ব্যবসা চালানো হচ্ছে? তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

এই বিষয়ে স্কুলের কেয়ারটেকরকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “স্কুল খোলার পরেই বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ি। এর পাশাপাশি স্কুল চলাকালীন সমস্ত দায়িত্ব স্কুল কর্তৃপক্ষের। সেই সময়ে এখানে কী ঘটে তা জানি না।”

Group C Recruitment: ৭ প্রশ্নের উত্তর দিয়ে স্কুলে চাকরি? দুর্নীতির অভিযোগ উঠতেই বেপাত্তা তৃণমূল কাউন্সিলর
অন্যদিকে, এই বিষয়ে কাশিমপুর পঞ্চায়েতের পরিষদীয় দলনেতা অমল কুমার বিষ্ণু বলেন , “এই ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এই স্কুলে দু’লাখ টাকা ব্যয় করে রাজ্য সরকারের তহবিল থেকে মিড ডে মিলের জন্য একটি ঘর তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে চা, সিগারেটের আসর অত্যন্ত খারাপ বিষয়।”

পাশাপাশি গ্যাসের সিলিন্ডার থেকে কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে সেই দায়িত্ব কে নেবে? তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। বর্তমানে অমলবাবুর হস্তক্ষেপে দত্তপুকুর মহেশ বিদ্যাপীঠ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এই চা এবং সিগারেটের দোকান সরিয়েছে ওই ব্যক্তি। যদিও এতদিন কী ভাবে এই দোকান চলছিল? তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *