Adenovirus Symptoms : ​আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১১ হাজার, অ্যাডিনো মোকাবিলায় টাস্ক ফোর্স গঠন নবান্নের – west bengal govt set up task force to handle adenovirus situation


অ্যাডিনোভাইরাস (Adenovirus) নিয়ে উদ্বেগের মধ্যেই এবার নড়েচড়ে বসল রাজ্য। ক্রমাগত বেড়ে চলা শিশু মৃত্যু নিয়ন্ত্রণে বিশেষ টাস্ক ফোর্স তৈরি করল নবান্ন। মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর নেতৃত্বে এই টাস্ক ফোর্স রাজ্যে ছড়িয়ে পড়া অ্যাডিনোভাইরাসের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবে। এছাড়াও এই আটজনের বিশেষ টাস্ক ফোর্সে থাকবেন মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগমও। এছাড়াও থাকছেন বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা. ঢালি।

Mamata Banerjee on Adenovirus: বাড়িতে একজন অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত, আমি উদ্বিগ্ন: মমতা

অ্যাডিনোভাইরাসে আক্রান্ত কত?

এদিন নবান্নে অ্যাডিনোভাইরাসের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় একটি বৈঠক বসে। সমস্ত জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিকদের থেকে পাওয়া রিপোর্ট খতিয়ে দেখেন মুখ্যসচিব। তিনি জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট ১০ হাজার ৯৯৯ জন অ্যাডিনোতে আক্রান্ত হয়েছিল। তাঁর মধ্যে মৃতের সংখ্যা ১৯। এই তালিকার ১৩ জনের শরীরে কো-মর্বিডিটি ছিল। মুখ্যসচিব আরও জানান, বর্তমানে অ্যাডিনোভাইরাসের প্রকোপ রাজ্যে অনেকটাই কমে এসেছে। আগে যেখানে প্রতিদিন গড়ে ৮০০ থেকে ৮৫০ জন আক্রান্ত হচ্ছিল, এখন সে সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৫০০ থেকে ৬০০ প্রতিদিন। ফলে অকারণে প্যানিক না করে সতর্ক হতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে।

Adenovirus : ৩৭ দিন একমো-তে লড়াই অ্যাডিনো আক্রান্ত কিশোরীর, বিল ছাড়াল ৪৫ লাখ

মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের সদস্য অ্যাডিনো আক্রান্ত

উদ্বেগের এই ভাইরাসের থাবা পড়েছে বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারেও। বিধানসভায় অ্যাডিনো পরিস্থিতি নিয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সে কথা জানান। তিনি বলেন, “আমার পরিবারের সদস্যও অ্যাডিনোতে আক্রান্ত হয়েছে। উদ্বেগে রয়েছি। অ্যাডিনো নিয়ে তার পর্যবেক্ষণে মুখ্যমন্ত্রী জানান, “যাদের কোভিড হয়েছে, তাদের মধ্যে একটা প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে।”

Adenovirus Infection : গরমে ভাইরাসের ক্ষমতা কমায় আশায় স্বাস্থ্যমহল
তিনি জানিয়েছেন, “এখনও পর্যন্ত ১৯ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। কো মর্বিডিটি ১৩ জন এবং অ্যাডিনোয় ছয় জনের মৃত্যু হয়েছে। অ্যাডিনো থেকে বাঁচতে করোনার মতোই মাস্ক পরতে হবে এবং বিশেষ করে শিশুদের মাস্ক পরাতে হবে।” অ্যাডিনো উদ্বেগ সামাল দিতে আগেই স্বাস্থ্য দফতরকে একাধিক নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অ্যাডিনো ভাইরাসের প্রকোপে শিশু মৃত্যু আটকাতে আগেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় প্রশাসনকে কাজের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এবার টাস্ক ফোর্স গঠন ভাইরাস মোকাবিলায় আরও এক ধাপ অগ্রগতি বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। স্বাস্থ্য দফতরকে তিনি নির্দেশ দেন যাতে আর একটি শিশুরও মৃত্যু না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশি অনুযায়ী, ২৪ ঘণ্টা হাসপাতালে একজন শিশু চিকিৎসকের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *