মাত্র দু’মাসেই ফসলও ফলে গিয়েছে। যা দেখে খুশি কালচিনির ঘনশ্যাম ছেত্রী। যদিও এখনও ফুলকপিগুলি বাজারে বিক্রি শুরু করেননি তিনি। ঘনশ্যাম ছেত্রীর চাষ করা সেই রঙিন ফুলকপি গুলি দেখতে বাড়িতে ভিড় করছেন স্থানীয়রা। তার বাড়িতে গেলেই দেখা মিলবে হলুদ ও বেগুনি রংয়ের ফুলকপি।
এই বিষয়ে ঘনশ্যাম ছেত্রি জানান, “মাস দুয়েক আগে ফালাকাটা থেকে রঙিন ফুলকপির বীজ এনেছিলাম আমি। কোনও রাসায়নিক সার ব্যবহার না করে গোবর সার দিয়েই সমস্ত চাষ করা হয়েছে। রঙ্গিন ফুলকপি পলি হাউসে চাষ হয় এবং পলি হাউসের বাইরেও চাষ হয়।
আর সরকারি সহযোগিতা পেয়েই পলি হাউস তৈরি করেছি আমি। এই বছর চাষ করা ফুলকপি গুলি এলাকার গ্রামবাসী ও নিজের খাবারের জন্য রেখেছি। পরের বছর থেকে বিক্রির জন্য রঙিন ফুলকপির চাষ করব এবং তা বাজারে বিক্রি করব”।
এই রঙিন ফুলকপির গুণাবলী গুলি কি কি?
হলুদ, বেগুনি রঙের এই রঙিন ফুলকপি স্বাস্থ্যগুণে ভরপুর এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বেশি। এগুলি রঙিন হলেও হাইব্রিড নয়। এদের আদি নিবাস ইতালি কিংবা দক্ষিণ আফ্রিকায়। এই ধরনের রঙিন ফুলকপিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। পাশাপাশি রয়েছে অ্যান্থোসায়ানিন, যা রক্তনালীকে সুস্থ রাখে এবং কোলাজেন ধ্বংস করে।
এছাড়াও রঙিন ফুলকপিতে রয়েছে ক্যারোটিন, যা ত্বক আর চোখ ভালো রাখে। ভিটামিন সি ছাড়াও এই ফুলকপিতে রয়েছে ভিটামিন কে, যা রক্ত প্রবাহ স্বাভাবিক রাখে। এই বিষয়ে কালচিনির BDO প্রশান্ত বর্মণ জানান, “এই প্রথম রঙিন ফুলকপি চাষ করা হল। সরকার থেকে এই বিষয়ে কৃষককে সহযোগিতা করা হয়েছে। তবে এই এখুনি এই ফুলকপি বাজারে কেনার জন্য মিলবে না। পরের বছর থেকে আরও বেশি পরিমানে এই রঙিন কপির চাষ করা হবে, আর বাজার থেকে সাধারন মানুষ তা কিনতে পারবেন”।