তার বিরুদ্ধে 419/420/467/468/469 / 471/ 120B ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, প্রথমে ভুয়ো ওয়েবসাইট তৈরি করে সরকারি ওয়েবসাইটের কায়দায় একেবারে আসলের মত দেখতে ই-চালান তৈরি করত দুষ্কৃতীরা। সেই ভুয়ো চালান চলে যেত পাচারকারীদের হাতে। এরপর অবৈধভাবে বালি তুলে পাচার হত পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তে। দীর্ঘদিন সরকারি নজরদারি এড়িয়ে এইভাবেই চলছিল বালি পাচার।
এই ভুয়ো ই-চালান তৈরি করার কারিগর দীপক কুমার ঘোষকে গ্রেফতার করে বিধাননগর সাইবার পুলিশ। ধৃতকে আজ শনিবার বিধাননগর মহকুমা আদালতে পাঠানো হয়। ধৃতের পুলিশি হেফাজতের আবেদন করে বিধাননগর সাইবার পুলিশ। এদিকে, লোন পাইয়ে দেওয়ার নাম করে প্রতারণার এক ছক ফাঁস করল বিধাননগর উত্তর থানার পুলিশ।
পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে চার তরুণী সহ মোট ছ’জন। গতকাল রাতে BD ব্লকে হানা দিয়ে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। বাড়ি ভাড়া নিয়ে এই চক্র কাজ চালাতো। আজ ধৃতদের বিধাননগর কোর্টে তোলা হয়। মূল পান্ডার খোঁজে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, গতকাল শুক্রবার সূত্র মারফত খবর পাওয়া যায় যে সল্টলেকের BD ব্লকের ৪২২ নম্বর বাড়িতে সাত আট মাস ধরে ভাড়া নিয়ে সেখানে ভুয়ো কল সেন্টার খুলে লোন পাইয়ে দেওয়ার নাম করে প্রতারণা করত এই চক্র। সেই খবরের ভিত্তিতে হানা দেয় বিধাননগর উত্তর থানার পুলিশ।
সেখানে হানা দিয়ে চার তরুণী সহ মোট ছ’জনকে গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পারে এরা ওই অফিসে বসে বিভিন্ন মানুষকে ফোন করে লোন লাগবে কিনা জিজ্ঞাসা করতো। কেউ রাজি হয়ে গেলে সেই লোন পেতে গেলে নানা প্রসেসিং বাবদ টাকা নেওয়া হত। এর পাশাপাশি একটি বিমাও করতে হবে বলে টাকা হাতিয়ে নিত।