পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কর্মসূত্রে নির্যাতিতার মহিলার সঙ্গে পরিচয় হয় রেজাউলের। বছর তিনেক আগে নির্যাতিতার স্বামী মারা গেলে তাঁদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা আরও বাড়ে। একটা সময়ে তাঁরা একসঙ্গেও থাকতে শুরু করেন। ঠিকভাবেই চলছিল তাঁদের লিভ ইন রিলেশনশিপ।
হঠাৎ করে তাঁদের সম্পর্কে নেমে আসে অন্ধকার। মাস তিনেক আগে বাড়ি থেকে হঠাৎ পালিয়ে যায় রেজাউল। তারপর থেকে ওই মহিলার সঙ্গে যাবতীয় সম্পর্ক ত্যাগ করে রেজাউল। কোনওভাবেই সে ওই মহিলার সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে চাইছিল না। পালিয়ে যাওয়ার আগে নির্যাতিতার গয়না ও জমানো লক্ষাধিক টাকা নিয়ে চম্পট দেয় অভিযুক্ত রেজাউল।
শেষে বাধ্য হয়ে সোনারপুর থানায় লিখিত অভিযোহ দায়ের করেন নির্যাতিত মহিলা। নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ। তদন্তে নেমে প্রধান অভিযুক্ত রেজাউলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই বিষয়ে বারুইপুর পুলিশ জেলার DSP মোহিত মোল্লা জানিয়েছেন, নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে রেজাউল মোল্লা নামে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁকে আদালতে পেশ করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ।
সম্প্রতি বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা দীননাথ নস্করের বিরুদ্ধে এক মহিলার সঙ্গে সহবাসের অভিযোগ উঠেছিল। এমনকী ওই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেন ওই মহিলা। এমনকী তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ভাঙড় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়।
পুলিশকে ওই মহিলা জানিয়ছেন, বিয়ের কথা বললে তাঁকে খুনের হুমকি দিতেন ওই তৃণমূল নেতা। এমনকী পুলিশকে ওই মহিলার জানিয়েছেন, তাঁকে জোর করে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনে বাধ্য করত দীননাথ মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ। যদিও যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল নেতা। তাঁর দাবি, তাঁকে ফাঁসানোর জন্য এই জাতীয় অভিযোগ করা হচ্ছে।