John Barla Bimal Gurung : গুরুং-এর বাড়িতে বৈঠকে বার্লা, পাহাড়ে রাজনৈতিক সমীকরণে ফের বদল? – john barla and bimal gurung meeting


Jalpaiguri News : দুজনেই পৃথক রাজ্যের দাবিতে সরব হয়েছেন মাঝেমধ্য়েই। একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বার্লা। আর অপরজন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা সুপ্রিমো বিমল গুরুং। আর এই দুজন এবার হঠাৎই বৈঠক করলেন একে অপরের সঙ্গে। শুক্রবার বিকেলে বানারহাটে লক্ষ্মীপাড়া চা বাগানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বার্লার বাসভবনে যান গুরুং। দুজনেই এই বৈঠককে সাংবাদিকদের সামনে সৌজন্যমূলক বলে দাবি করেছেন। যদিও নিজের দাবি থেকে এখানেও সরে আসেননি বিমল গুরুং।

Firhad Hakim on Fufura Sharif: ফুরফুরার উন্নয়নে আলোচনার বার্তা, নওশাদকে ‘ভাই’ সম্বোধন ফিরহাদ-তপনের
সাংবাদিকদের সামনে পেয়েই তিনি বলেন, “পাহাড়ে উন্নয়নের নামে দুর্নীতি হচ্ছে। পাহাড় ও তরাই, ডুয়ার্সের মানুষদের সমস্যার রাজনৈতিক সমাধান চাই”, এমনটাই বললেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা সুপ্রিমো বিমল গুরুং। এছাড়াও বিমল গুরুং বলেন, “আমরা রাজনৈতিক সমাধান চাই। পাহাড়, তরাই, ডুয়ার্সের গোর্খা, আদিবাসী ও রাজবংশীদের জন্য ভারত সরকারের কাজ করা উচিৎ। রাজনৈতিক সমাধানের জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারকেও বলেছিলাম। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি।

Primary TET Scam : ৫০ লাখের লেনদেন! ফের কুন্তল-যোগে ‘রহস্যময়ী’
সময় যাবে, ভোট আসবে। আগামী দিনে ভারত সরকার এটা ভাবুক। চা বাগানে নুন্যতম মজুরী লাগু হয়নি। অনেক সমস্যা আছে মানুষের মধ্যে। পাট্টার বিষয়টিও দেখা উচিৎ”। সেই সঙ্গে আলাদা গোর্খাল্যান্ডের (Gorkhaland) দাবি তুলে গুরুং জানান, “যতদিন শ্বাস থাকবে ততদিন আমি গোর্খাল্যান্ডের দাবি থেকে সরব না”। আর বছর খানেক বাদেই লোকসভা ভোট। সেখানে তিনি কি করবেন?

Primary TET Scam : ৫ বছরেও শোধ হল না ‘ঋণ’! কাল ডাক সোমাকে
এই প্রশ্ন শুনে গুরুং বলেন, “২০২৪ সালে যারা আমাদের জাতির জন্য কাজ করবে তাদের আমরা সমর্থন করব। এখানে শ্রমিকরা তাদের জমির পাট্টা পাচ্ছে না। ২০১২ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত যখন আমি পাহাড়ের দায়িত্বে ছিলাম তখন পাহাড়ের জন্য ৬০০ কোটি টাকা কেন্দ্রীয় বরাদ্দ এসেছিল। ১৬৬ কোটি টাকা DGHC রেখেছিল। সেটা দিয়েই আমরা পাহাড়ের উন্নয়ন করেছি। তারপর আর কিছুই করা হয়নি। আমার সময়েই উন্নতি হয়েছে। আর এখন বিকাশের নামে দুর্নীতি হচ্ছে। পাহাড়ে ১৬০০ কোটি টাকার প্রকল্প ঘোষণা করা আছে, কিন্তু কিছুই করা হয়নি”।

Mamata Banerjee : জাতীয় রাজনীতিতে মমতা কি একা হয়ে গেলেন?
এদিকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বার্লা এই বৈঠক প্রসঙ্গে বলেন, “বিমল গুরুং-এর জন্যই আমি টিকিট পেয়েছিলাম। তিনি আমার জন্য ভোট প্রচার করেছিলেন। উনি ডুয়ার্সে আন্দোলন করেছিলেন বলেই আমরা জেগে উঠেছিলাম। বিমল গুরুং-এর সঙ্গে আমার বন্ধুত্ব বহু দিনের। ভবিষ্যতেও তার সহযোগিতা পাব বলে আমি আশা করি।

DA Strike In West Bengal : ‘এটা শেষ কথা নয়, পরে সমস্যা হলে…’! শিক্ষিকাদের হুঁশিয়ারি মন্ত্রীর
তাকে আমি নিমন্ত্রণ করেছিলাম আমার বাড়িতে আসার জন্য”। যদিও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এই বৈঠককে সম্পূর্ণ সৌজন্যমূলক আখ্যা দিলেও, গত কয়েকমাসের ছবি বলছে, পাহাড়ে দ্রুত বদলাচ্ছে রাজনৈতিক সমীকরণ। আর এই বৈঠকের পরেই আবার নতুন কি সমীকরণ দেখা দেয়, তার অপেক্ষাতেই রাজ্যের রাজনৈতিক মহল।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *