বিজেপি সাংসদ আরও বলেন, “পুরো তৃণমূল দলটা দুর্নীতিতে ভরে গিয়েছে। চোর, ডাকাত, গুন্ডা এই দলে সবাই রয়েছে।তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এসে এরা সব কিছু ভুলে গিয়েছে। এই জিনিস শুধু বাংলাতেই দেখা যায়।এর পিছনে বড় বড় প্রভাবশালীরা রয়েছেন। তাদের নামগুলো শান্তনু-কুন্তল যেন তদন্তকারী সংস্থাকে বলে দেয়। আরও নেতাদের নাম বেরিয়ে আসবে।”
এরপরই কার্যত বিস্ফোরক দাবি করেছেন হুগলির সাংসদ। তিনি বলেন, “হুগলি জেলার মন্ত্রী-বিধায়করাও দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। চুঁচুড়ার বিধায়কও এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। তারও অনেক রকমের অনেক কিছু পাওয়া যাচ্ছে সেও অনেককে চাকরি দিয়েছেন, এই ধরনের কথা শোনা যাচ্ছে। আমাদের কাছে অনেক তথ্য এসেছে। সময় মতো এক এক করে তথ্য বের করব। ধনেখালী, চুঁচুড়া, সিঙ্গুরের, বড় সব যাঁরা জিতেছেন তাদের নাম উঠে আসছে। একে একে সকলেই ধরা পড়বে।” দুর্নীতির মুখোশ খুলে দেওয়ার জন্য বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কেও ধন্যবাদ দিয়েছেন লকেট।
লকেটের মন্তব্য প্রসঙ্গে তীব্র আক্রমণ করেছে তৃণমূল। চুঁচুড়া তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার এই প্রসঙ্গে বলেন, “লকেট চট্টোপাধ্যায়ের কোনও লজ্জা-ঘৃণা নেই। আমরা কাছে প্রায় ২১ হাজার ভোটে হেরেছেন, সেই গ্লানি এখনও মুছতে পারছেন না। সেই কারণে উলটো পালটা কথা বলছেন। ক্ষমতা থাকলে প্রমাণ করে দেখাক। উনি নিজে একজন অস্বচ্ছ মহিলা বলে এই কথা বলছেন। আমি ওঁনার বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হব, সেখানে সবকিছু প্রমাণ করতে হবে।”