Anubrata Mondal Latest News : বাবার পর মেয়ে, দিল্লি থেকে অনুব্রত কন্যা সুকন্যাকে ফোন ED-র – anubrata mondal daughter sukanya mondal summoned by ed in delhi


বাবার পর এবার মেয়ে। আগামী সপ্তাহেই দিল্লিতে ফের তলব করা হয়েছে অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডলকে (Anubrata Mondal Daughter Sukanya)। শনিবার সকালেই কেষ্ট কন্যার কাছে ফোন যায় ED- আধিকারিকদের। জানানো হয়, দ্রুত দিল্লিতে হাজিরা দিতে হবে তাঁকে। ফলে গরিষ্ঠ মহলের একাংশের অনুমান, সোমবারই বাবা ও মেয়েকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতে চলেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা।

Anubrata Mondal News : অনুব্রতর সঙ্গে বাংলাদেশি লিংক! ED জেরায় বিস্ফোরক তথ্য
তবে কেবলমাত্র সুকন্যা মণ্ডলই নয়। তলব করা হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিকেও। তাঁকেও এদিন ED আধিকারিকরা ফোন করে আগামী সপ্তাহে দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়েছেন। তদন্তে নেমে অনুব্রত মণ্ডলের নামে একশোর উপর জমিজমা, চালকল, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলেছে। এর মধ্যে ২৬টি সম্পত্তির মালিক কন্যা সুকন্যা মণ্ডল। যার পরিমাণ প্রায় ৫৭ কোটি টাকা। সুকন্যার ব্যাঙ্কে ৬ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট, সাত বছরে ১২ কোটি টাকার জমি কেনার সন্ধান মিলেছিল। আগেও সুকন্যাকে দিল্লিতে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। কিন্তু, সে সময় সবই বাবা জানেন বলে এড়িয়ে গিয়েছিলেন কেষ্ট কন্যা। এখন দেখার বাবা-মেয়ে মুখোমুখি জেরায় কোন চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে আসে।

Anubrata Mondal News : গোরু পাচারের টাকাতেই কোটি কোটির সম্পত্তি? অনুব্রতকে নাগাড়ে জেরায় ED হাতে চাঞ্চল্যকর তথ্য
গরুপাচারের টাকাতেই কী একের পর এক সম্পত্তি, রাইস মিল, ব্যাঙ্কে বিপুল টাকা? এই টাকার উৎস কী? জানা গিয়েছে, এই রহস্য উদঘাটন করতে একাধিক চোখা চোখা প্রশ্নমালা তৈরি করে রেছে ED। ইতিমধ্যেই ম্যারাথন জেরা করা হচ্ছে অনুব্রত মণ্ডলকে। এখন তাঁর সঙ্গে সুকন্যা মণ্ডল এবং হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারির মুখোমুখি বসিয়ে জেরার অপেক্ষা।

Anubrata Mondal : ‘বুকে ব্যথা করছে’, দিল্লির হাসপাতালে একাধিক টেস্ট অনুব্রতর
তিনদিনের হেফাজত শেষে শুক্রবার অনুব্রত মণ্ডলকে রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে পেশ করে ED। আদালতে ঢোকার পর এজলাসে পিছনের দিকে বসেন অনুব্রত। শুনানির শুরুতে অনুব্রতকে ১১ দিন হেফাজতে চেয়ে আবেদন করেন ED-র আইনজীবী। বিরোধিতা করে অনুব্রতর আইনজীবী বলেন, তিনদিনের হেফাজতে মাত্র ২ ঘণ্টা জেরা করা হয়েছে।” পালটা ED-র আইনজীবীর যুক্তি, “অনুব্রতকে যাতে দিল্লি না আনা যায়, বা ED যাতে হেফাজতে নিতে না পারে তার জন্য অযথা সময় নষ্ট হয়েছে আগেই। উনি হিন্দি বা ইংরেজি জানেন না। বাংলাতেও লিখতে পারছেন না। তাই একদিন মাত্র জেরা করা সম্ভব হয়েছে। সেখান থেকে অনেক তথ্য পাওয়া গিয়েছে। আরও কিছু তথ্যের উপর ভিত্তি করে তাঁকে জেরা করতে হবে। একজন ট্রান্সলেটর ও বাংলা রাইটার জোগাড় করা হয়েছে। ফলে আরও কিছুদিন সময় প্রয়োজন।” এরপরই আদালত ED-র দাবি মেনে অনুব্রত মণ্ডলকে ১১ দিনের হেফাজতের নির্দেশ দেন।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *