ঘটনার কিনারা করতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) ধ্রুব দাস বলেন, “ঘটনার লিখিত অভিযোগ এখনও হয়নি তবে, তদন্ত শুরু হয়েছে।” পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত দু’জনের নাম নারসিমা বিবি (২৫) ও ফারসিনা খাতুন (৫)।
নারসিমার স্বামী মন্টু শেখ কেরালায় রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। প্রায় ৫ মাস ধরে তিনি সেখানেই রয়েছেন। শ্বশুর রসুল মণ্ডল, শাশুড়ি কোহিনুর বিবি এবং অবিবাহিত ননদ সেলিনা খাতুনের সঙ্গে থাকতেন নারসিমা।
জানা গিয়েছে, শনিবার সকালের দিকে কোহিনুর ও সেলিনা তাঁদের এক আত্মীয়ের বাড়ি গিয়েছিলেন। অন্য দিকে, জলখাবার খেয়ে মাঠে চাষের কাজে যান রসুল। দুপুর দুটো নাগাদ বাড়িতে ফেরার পর রসুল একটি ঘরে নাতনির ঝুলন্ত দেহ দেখেন।
এর পর তিনিই প্রতিবেশীদের ডেকে আনেন। তখনই পাশের একটি ঘরে নারসিমার ঝুলন্ত দেহ দেখা যায়। স্থানীয়রাই পুলিশে খবর দেন। দেহ দু’টি উদ্ধার করে কাটোয়া হাসপাতালে ময়না-তদন্তের জন্য পাঠায় পুলিশ।
নারসিমার পরিবারের দাবি, সংসারে অশান্তি ছিল। বিশেষ করে মেয়ে ফারসিনার জন্মের পর অশান্তি আরও বাড়ে। ফারসিনা বিশেষ ভাবে সক্ষম শিশু। তা নিয়ে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের গঞ্জনা সইতে হতো নারসিমাকে।
সম্প্রতি পরিবারে কিছু গয়না খোয়া গেলে শ্বশুরবাড়ির লোকেদের সঙ্গে অশান্তি বাড়ে নারসিমার। তাঁর জামাইবাবু আলিফ শেখ অভিযোগ করে বলেন, “নারসিমার দ্বিতীয় সন্তান হাঁটতে পারত না। তাই শাশুড়ির গঞ্জনা লেগেই থাকত। এমনকী ওই সন্তানকে মেরে ফেলার কথাও বলতেন শাশুড়ি। দিন তিনেক আগে গয়না নিয়েও অশান্তি হয়। নারসিমা মোটেই সুখে ছিল না। ওর সঙ্গে কী ঘটেছে আমরা জানি না তবে, এর পিছনে দায় ওর শ্বশুরবাড়ির।”
নারসিমার দিদি রেশমিনা বিবির বক্তব্য, “আমার বোন আত্মহত্যা করেনি। ওকে মেরে ফেলা হয়েছে।” শ্বশুর রসুল মণ্ডল ও তাঁর পরিবারের বাকি সদস্যরা পলাতক।