রবিবার প্রায় ২৪ ঘণ্টা পর শিশুটির দেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনায় শোকের ছায়া গোটা এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কাল খেলতে গিয়ে খালের জলে তলিয়ে যায় ২ বছরের একরত্তি।
ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার উস্তি থানার লালপোল এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দারা খবর দেন উস্থি থানার পুলিশকে। পুলিশ এসে খালের জল থেকে শিশুটির দেহ উদ্ধার কার্য শুরু করে।
কিন্তু শনিবার দিনভর শিশুটির দেহ জল থেকে মেলেনি। রবিবার সকালে শিশুটির নিথর দেহ জল থেকে উদ্ধার করা হয়। শিশুটির পরিবার সূত্রে খবর, নিখোঁজ শিশু আফফান লস্করের বাড়ি জয়নগর থানা এলাকার ধপধপি এলাকায়।
শনিবার বাবা-মায়ের সঙ্গে উস্থিতে মামার বাড়িতে ঘুরতে এসেছিল আফফান। শনিবার বিকেলে ডায়মন্ড হারবারের মগরাহাটের ক্রিক খালের পাশে খেলার সময় অসাবধানতায় খালের জলে পড়ে যায় শিশুটি। জলে পড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তলিয়ে যায় বছর ২ এর আফফান লস্কর।
সেই সময় খালে জোয়ারের টান থাকায় নিমেষেই জলের স্রোতে তলিয়ে যায় ওই ২ বছরের শিশু। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “বাচ্চাটি প্রথমে ঘরের মধ্যেই ছিল। বাবা-মা হয়তো খেয়াল করেনি। খেলা করতে করতে কীভাবে খালের ধারে চলে যায়। অসাবধনতাবশত খালের জলে পড়ে তলিয়ে যায়।”
প্রাথমিকভাবে স্থানীয় বাসিন্দারা কিছুক্ষণ খোঁজাখুঁজি চালায়। পরে আফফানের খোঁজে খালের জলে তল্লাশি শুরু করে পরিবার। এরপর কিছুক্ষণের মধ্যেই খবর দেওয়া হয় উস্থি থানার পুলিশকে।
খালের জলে শিশু তলিয়ে যাওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে উস্থির লালপোল এলাকায়। উস্থি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ডায়মন্ড হারবার মগরাহাট খালে তল্লাশি অভিযান শুরু করলেও খোঁজ মেলেনি ওই শিশুর। দিনভর তল্লাশির পর রবিবার শিশুটির দেহ উদ্ধার হয়েছে।
রবিবার দিন সকাল বেলা ওই খালের মধ্যে থেকেই ভেসে ওঠে ওই শিশুর দেহ। এরপরই উস্তি থানার পুলিশ এই শিশুর দেহ উদ্ধার করে। পরে শিশুটির দেহ ডায়মন্ড হারবারে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়। তবে এমন মর্মান্তিক ঘটনায় ইতিমধ্যেই পরিবারে নেমেছে শোকের ছায়া।