রবিবার সকালে নিউটাউন ইকোপার্কে প্রাত:ভ্রমণে আসেন BJP-র সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ। সেখানেই DA ইস্যুতে দিলীপ বলেন, “রাজ্যপাল এখানকার অভিভাবক। যখন কোনও অচল অবস্থা তৈরি হয়, ওঁর দায়িত্ব নেওয়া উচিত। উনি রেসপন্স করেছেন।” তবে বকেয়া DA দিতে রাজ্য সরকার যে অপারগ সেই প্রসঙ্গ টেনে এনে সরকারের সমালোচনা করতে ছাড়েননি তিনি।
সরকারকে কাঠগড়ায় তুলে দিলীপ এদিন বলেন, “সরকারের কাছে টাকা নেই, এদিকে কর্মচারীরা DA চাইছেন। সরকার কথা বলতেও রাজি নয়। সাধারণ মানুষের অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হচ্ছে। মানুষ সরকারকে ভোট দিয়েছিল সুশাসন পাওয়ার জন্য সরকার সেটা দিতে পারছে না।”
উল্লেখ্য, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস শনিবারই DA সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে আলোচনার জন্য রাজ্য সরকারের কর্মচারীদের ডেকে পাঠিয়েছিলেন। বিষয়টি নিয়ে আলোচনার মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান সম্ভব বলে আন্দোলনকারীদের বার্তা দিয়েছিলেন তিনি।
ইতিমধ্যে, রবিবার দুপুরের রাজভবনে গিয়ে আন্দোলনকারীদের পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন। বিষয়টি নিয়ে সমাধানে আশ্বাস দিয়েছেন রাজ্যপাল বলে জানান প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।
তবে বিষয়টি নিয়ে দিলীপ এদিন জানান, “কর্মচারীদের অধিকার রক্ষিত হচ্ছে না তাই তারা আন্দোলন করছেন। সরকার তাদের বাধ্য করেছে এই পরিস্থিতিতে যেতে। রাজ্যপাল যখন এই বিষয়টা দেখছেন তখন সরকারকে কথা বলতে বাধ্য করা উচিত। সরকার কী পারবে সেটা কথা বলে মেটানো উচিত। নয়তো পরিস্থিতি হাতের বাইরে যাচ্ছে।”
অন্যদিকে, আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে বুথ স্তরে সাংগাঠনিক জোর বাড়াতে কোমর বেঁধে নামছে গেরুয়া শিবির। আনা হচ্ছে ভোট কুশলী সংস্থাকেও। শাসক দলকে ঠেকাতে একাধিক কর্মসূচি নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে রাজ্য BJP-র।
এ প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, “BJP একটা কর্মপদ্ধতি অনুযায়ী কাজ করে। আমাদের বাংলায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। প্রতি নির্বাচনের পর আমরা নতুন করে বুথ তৈরি করি। সব কর্মীর ডেটা আমরা রাখি, প্রায় ১৮ কোটি মেম্বার আমাদের। সমস্ত কর্মীদের কাজে লাগানোর একটা প্রসেস শুরু হয়েছে সেটা উপর থেকে নিচ অবধি যাচ্ছে।”