শুক্রবার সংগ্রামী যৌথমঞ্চের পক্ষ থেকে বকেয়া DA-এর দাবিতে ধর্মঘট ডাকা হয়েছিল। জলপাইগুড়ি সুনীতি বালা সদর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষিকা বিদ্যালয়ে ঢোকার জন্য নির্ধারিত সময় বিদ্যালয় এসেছিলেন। কিন্তু বনধের সমর্থনে বিদ্যালয়ের গেট আটকে চলছিল বিক্ষোভ।
সে কারণেই গেটের বাইরে প্রধান শিক্ষিকা সুতপা দেবী ও অন্যান্য শিক্ষিকারা দাঁড়িয়ে ছিলেন। অভিযোগ, সেই সময় হঠাৎ বিদ্যালয়ে আসেন তৃণমূলের শিক্ষক নেতা অঞ্জন দাস। তিনি বিদ্যালয়ে এসেই প্রধান শিক্ষিকাকে বেশ কিছু কুমন্তব্য করেন বলে অভিযোগ।
শিক্ষিকাদের অভিযোগ, চোখ রাঙিয়ে ও হাতের আঙুল তুলে রীতিমত চোটপাট করতে শুরু করেন তৃণমূল নেতা। এই ঘটনার ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই অভিযুক্ত তৃণমূল শিক্ষক নেতা থানায় গিয়ে প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এরপরেই প্রধান শিক্ষিকাদের তরফে একটি বৈঠক করা হয়।
রবিবার সন্ধ্যা নাগাদ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন সুতপা দাস অভিযুক্ত অঞ্জন দাসের বিরুদ্ধে। বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা করেছেন স্থানীয় BJP নেতা। BJP জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামী বলেন, “এই শাসক দলের শিক্ষক নেতা অঞ্জন দাস শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতিতে সঙ্গে জড়িত। তাঁর বিরুদ্ধে CBI তদন্ত হবে।”
BJP-র জেলা সভাপতি বাপী গোস্বামীর দাবি, তৃণমূলের এই শিক্ষক নেতা অঞ্জন দাস শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে যে দুর্নীতি হয়েছে তার সঙ্গে জড়িত। CBI ও ED-র কাছে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ হয়েছে এবং সেই তদন্ত খুব তারাতাড়ি শুরু হবে বলে জানান জেলা BJP সভাপতি বাপি গোস্বামী। অন্যদিকে, অঞ্জনের কুমন্তব্যের নিন্দা তার সংগঠনের শিক্ষারাও৷
তৃণমূলের শিক্ষক নেতা অঞ্জন দাস জানান, তিনি তৃণমূল দলের হয়ে বিদ্যালয়ের যাননি। তিনি এবারের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার জেলার জয়েন্ট কনভেনার। তাই তিনি বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখেন সেখানে প্রধান শিক্ষিকা সহ অন্যান্য শিক্ষিকারা বনধ করছেন। তাই তিনি সেখানে প্রতিবাদ করেন।
পালটা তাকে হেনস্থা করা হয়েছে বলে তাঁর অভিযোগ। তাই তিনি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন৷ অন্যদিকে, BJP জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামীর মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি মানহানি মামলা করবেন বলেও হুঁশিয়ারি দেন৷