Santanu Banerjee: বলাগড় শান্তনুকে চেনে ‘পাকা মাগুর’ নামে, অগাধ সম্পত্তির মালিককে কেন ডাকা হত এই নামে? – santanu banerjee hooghly balagarh tmc leader was popular in a significant name says locals


পেশায় বিদ্যুৎ দফতরের সামান্য কেরানি, পদে হুগলির বলাগড়ের যুব নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। পাড়ায় এলাকাবাসী যাকে চেনে পাকা “মাগুর” বলে। নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতারির পর নামে-বেনামে তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ দেখে চোখ কপালে সকলের।

নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত শান্তনুর বলাগড়েই রয়েছে একটি তিন তলা বাড়ি, জিরাটে বাড়ির কাছে বারুইপাড়ায় রয়েছে ‘দ্য স্পুন’ নামে আধুনিক রেস্টুরেন্ট ও ধাবা, চাদরা বটতলা অঞ্চলে গঙ্গার পাড়ে বিশাল একটি রিসর্ট আছে শান্তনুর। রিসর্টের পাশাপাশি বেশ কিছু জমিও নামে বেনামে কিনেছেন তিনি বলে দাবি এলাকাবাসীর।

Manoranjan Bapari on Shantanu Banerjee: ‘নির্বাচনের সময় শান্তনু কোনও সাহায্য করেনি’, অভিযোগ বলাগড়ের বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারীর

প্রথম থেকেই শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের আচমকা এমন সম্পত্তির বাড়বাড়ন্ত চোখ এড়ায়নি কারও। নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে গ্রেফতারির পর শান্তনুর নামে বেনামে আরও কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির খোঁজ সামনে আসতেই এখন সাধারণ মানুষের প্রশ্ন, তবে কি সবই নিয়োগ দুর্নীতির টাকায়?

শান্তনুকে ঘিরে এতদিন ছিল এক রহস্যময় জগতের অস্তিত্ব। সেই রহস্যের কারণে এতদিন এলাকার বাসিন্দারা তৃণমূল যুব নেতাকে ডাকেন “পাকা মাগুর” বলে। Santanu Banerjee : সিমকার্ডের দোকান থেকে ধাবা, রিসর্টের মালিক! শান্তনুর উত্থানে হতবাক পড়শিরা
সুদীপ্ত মুখোপাধ্যায় নামে ওই এলাকার বাসিন্দা এই প্রসঙ্গে বলেন, “গ্রাম্য এলাকায় থেকে বিপুল টাকার সম্পত্তি করেছে শান্তনু। ধরা না পড়ার জন্য অনেক চেষ্টা করেছিল। যেমন মাগুর মাছ জলের তলায় থাকে সহজে উঠে আসতে চায় না তাই এলাকার লোকেরা নাম দিয়েছি “পাকা মাগুর”। শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় নাম বললে অনেকেই চিনবেনা পাকা মাগুর বললে সবাই চিনবে। কারণ এই নাম এখন সবাইকার মুখে প্রচলিত।”

২০১৮ সালে নির্বাচনে জিতে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় জেলা যুব তৃণমূলের কর্মাধক্ষ হন। জানা গিয়েছে, চন্দননগরে একটি বিলাস বহুল ফ্ল্যাট রয়েছে তৃণমূলের এই নেতার চন্দননগরের এই ফ্ল্যাটে বসে দলের সাংগঠনিক কাজ করতেন শান্তনু।

Santanu Banerjee: সিম বিক্রেতা থেকে বিদ্যুৎ সংস্থার সামান্য চাকরিতেও অগাধ সম্পত্তি! শান্তনুর লাইফস্টাইল নিয়ে অস্বস্তি দলেও

সূত্রের খবর, এরপর ২০১৯ সালে চন্দননগরের বড়বাজার এলাকায় ফ্ল্যাট কেনার বিষয়ে মৌখিক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মালিক বিজয় গুহ মল্লিককে। সেই ফ্ল্যাট কেনার জন্য ২০২১ সালে ১০ লাখ টাকা বাবদ ফ্ল্যাটের মালিককে অগ্রিম বাবদ ব্যাঙ্কের চেক দেন শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু
ফ্ল্যাটের এগ্রিমেন্ট হলেও তাতে সই করেনি তৃণমূল নেতা।

জানা গিয়েছে, ওই ফ্ল্যাট মালিক বাকি টাকার জন্য অনেকবার বলেছিলেন শান্তনুকে। কিন্তু শেষমেশ এই ফ্ল্যাট শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় রেজিস্ট্রি করেনি বলে জানান ফ্ল্যাটের মালিক বিজয় গুহ মল্লিক।

Santanu Banerjee : রাজনীতিতে উল্কার গতিতে উত্থান, কী ভাবে দুর্নীতিতে জড়ালেন হুগলির শান্তনু?

চন্দননগরের মেয়র রাম চক্রবর্তী এই প্রসঙ্গে বলেন, ”চন্দননগর বড়বাজার এলাকায় একটি ফ্ল্যাট বুক করেন শান্তনু। মালিকের কাছ থেকে খবর নিয়ে জানতে পারি সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধ না হয় রেজিস্ট্রেশন হয়নি। শুধুমাত্র বুকিং করা হয়েছে। বছরখানেকের বেশি সময় আগে ফ্ল্যাট বুকিং করেছেন তিনি। কেউ যদি ব্যক্তিগতভাবে কোন অপরাধ করে থাকে দল তাকে প্রাধান্য দেবে না।”

ইডি সূত্রে দাবি, তৃণমূলের যুব নেতার শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে বেনামে প্রায় কুড়ি কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *