কেষ্ট ছাড়া কার্যত শুনশান দলের জেলা অফিস । খবর নেন না কেউই। এমনকী বেতন পাচ্ছেন না পার্টি অফিসের রক্ষণাবেক্ষনের দায়িত্বে থাকা কর্মীরা । বন্ধ হয়েছে রান্নাও ।
মাস সাতেক আগে সিবিআই-এর অভিযানে বদলে যায় সবকিছু। গোরু পাচার মামলায় বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা। তারপর থেকেই ধীরে ধীরে জৌলুসহীন অনুব্রত মণ্ডলের সাধের পার্টি অফিস।
অনুব্রত থাকাকালীন পার্টি অফিসে যেই আসুক না কেন, ছিল পাত পেড়ে খাওয়ার ব্যবস্থা। পার্টি অফিসে আগত অতিথি সহ পার্টি অফিসের কর্মীদেরও রোজ ছিল খাওয়ার ব্যবস্থা। পার্টি অফিস রক্ষণাবেক্ষণ , রান্না, নিত্যপূজা , অতিথিদের অভ্যর্থনা, ডাটা এন্ট্রি, বা সাধারণ মানুষকে এমএলএ এমপিদের সার্টিফিকেট দেওয়ার জন্য ছিল প্রায় ১৫ জন কর্মী । স্থায়ী মাস মাইনের বিনিময়ে এরাই করতেন পার্টি অফিসের সমস্ত কাজ।
অগাস্ট মাসে অনুব্রত গ্রেফতার হওয়ার পর প্রথম কটা মাস সব ঠিকই ছিল। তারপর থেকেই বদলাতে শুরু করে পরিস্থিতি বলে জানান সেই পার্টি অফিসেরই কর্মী। জেলার দাপুটে তৃণমূল নেতা গ্রেফতার হওয়ার পরই ক্রমশ শুনশান হতে থাকে পার্টি অফিস চত্বর । ধীরে ধীরে বদলাতে থাকে গোটা চিত্র। যে পার্টি অফিসে আগে নিত্যদিন শতাধিক লোকের আনাগোনা লেগেই থাকত, সেখানে এখন বড়জোর এক বা দুজনকেই দেখা যায় । পার্টি অফিসের সামনের পার্কিং এরিয়াও এখন একেবারে ফাঁকা ।
সূত্রের খবর, পার্টি অফিসে বেতন ভিত্তিক যে সমস্ত কর্মীদের রাখা হয়েছিল তারাও আর বেতন পাচ্ছেন না । এখন পার্টি অফিসে আর নেই কোনও রান্নার ব্যবস্থা। এমনকী বেশকিছু কর্মী পার্টি অফিসের কাজ ছেড়ে অন্যান্য কাজে যোগ দিয়েছে । তবে, ক্যামেরার সামনে পার্টি অফিসের কর্মী থেকে নেতা কেউই এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।