বিভিন্ন জনের বন্ধ হয়ে যাওয়া পলিসি পুনরায় চালু করার নাম করেই এই বিপুল পরিমাণ টাকা তুলেছেন তিনি, এমনটাই সন্দেহ তদন্তকারীদের। তবে পুলিশের দাবি, এই প্রতারণা চক্রে কৌশিক ছাড়াও আরও কয়েকজন জড়িত। গত বছরের ২২ সেপ্টেম্বর সল্টলেক ডিএ ব্লকের এক বাসিন্দার ফোনে একটি SMS আসে।
সেখানে জানানো হয়, বন্ধ হয়ে যাওয়া পলিসি পুনরায় চালু করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে। সেই লিঙ্কে ক্লিক করেন সল্টলেকের ওই বাসিন্দা। এরপরেই তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে ৪০,৯৪০ টাকা উধাও হয়ে যায়—এমনটাই অভিযোগ।
সেই ঘটনার তদন্তে নেমে শুক্রবার রাতে কসবার টেগোর পার্ক থেকে কৌশিককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ধৃতের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নথি অনুযায়ী, ২০২২-এর ১ জানুয়ারি থেকে ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত কৌশিকের অ্যাকাউন্টে ৩২ কোটি টাকা ঢুকেছে। পেশায় গাড়ির সামগ্রী বিক্রেতা কৌশিকের কাছে এই অর্থ প্রতারণা ছাড়া আর কোনও ভাবে আসেনি বলেই দাবি পুলিশের।
ধৃত অবশ্য এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। পুলিশ জেনেছে, মূলত সল্টলেক, বাগুইআটি, লেকটাউন, বাঙুর এবং কালিন্দী এলাকার বাসিন্দাদের বন্ধ হয়ে জীবনবিমা পলিসি পুনরায় চালুর নাম করে প্রতারণা করেছেন কৌশিক। ঘটনাচক্রে সল্টলেক সাইবার ক্রাইম থানায় গত এক বছরে যে অভিযোগ জমা পড়েছে তার ৬৫ শতাংশই বন্ধ হয়ে যাওয়া জীবনবিমা পলিসি পুনরায় চালুর টোপ সংক্রান্ত।
বিধাননগর কমিশনারেটের এক কর্তা জানান, কৌশিকের অ্যাকাউন্টে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ থাকলেও তিনি একা এর পিছনে নেই। সে কারণেই এই ঘটনার সঙ্গে আরও কে কে জড়িত তা জানতে ধৃতকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। বন্ধ পলিসি চালুর নামে প্রতারণা গ্রেপ্তার যুবক