সিআইডির হাতে দুই ব্যক্তির গ্রেফতারির পর চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গিয়েছে। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, ফোনে কয়েকমাস কথা বলার পর ওই মহিলাকে সাদ্দাম জানায়, দিল্লিতে তাঁর কাজের বন্দোবস্ত হয়ে গিয়েছে। সাদ্দামের কথা বিশ্বাস করে শিশুকন্যাকে সঙ্গে নিয়ে দিল্লিতে এসে পৌঁছন ওই মহিলা। তাঁকে সেখানে চড়া দামে বিক্রি করে দেওয়া হয়। এমনকী তাঁকে দেহ ব্যবসায় নামে বাধ্য করা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে।
দীর্ঘদিনের চেষ্টার পর এক পরিচিত ব্যক্তির মোবাইল ফোন ব্যবহার করে গোটা ঘটনার কথা বাবাকে জানান ওই মহিলা। এই কথা জানতে পেরে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে বাবার। তিনি সঙ্গে সঙ্গে দক্ষিণ ২৪ পরগণার মগরাহাট থানায় লিখিত অভিযোহ দায়ের করেন। মহিলার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৬৫ ও ৩৬৬ ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ।
তদন্তে নেমে ফোনের টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে দিল্লির পুলিশের সাহায্যে ওই মহিলাকে যৌনপল্লি থেকে উদ্ধার করা হয়। কিন্তু, তখন কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। নারীপাচারের অভিযোগ থাকায় ঘটনার তদন্তভার সিআইডির হাতে তুলে দেওয়া হয়। মহিলার বয়ান ও বিভিন্ন তথ্য প্রমাণ খতিয়ে দেখে সাদ্দামের হদিশ পায় সিআইডি। শনিবার সাদ্দাম ও তাঁর সহযোগী আবদুল্লাকে দক্ষিণ ২৪ পরগণার কুলতলি থেকে গ্রেফতার করেন CID আধিকারিকরা।
CID-র এক আধিকারিক এই ঘটনা প্রসঙ্গে ইন্ডিয়া টুডেকে বলেন, “তদন্তভার হাতে পাওয়ার পর অত্যন্ত তৎপরতার সঙ্গে আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছিলাম। শনাক্তকরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর আমরা জেরা জন্য দুই অভিযুক্তকে নিজেদের হেফাজতে নেব। এই ঘটনার পিছনে কোনও বড় পাচারচক্র যুক্ত থাকতে পারে, সেই সংক্রান্ত তথ্যের জন্য তাঁদের জেরা করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।”