কাউন্সিলর জ্যোতিশঙ্কর কর্মকারকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ স্থানীয়দের। এলাকায় পুর নিগমের উদ্যোগে জলের ট্যাংকার বসিয়ে ক্ষোভ প্রশমনের চেষ্টা প্রশাসনের।আসানসোল পুরনিগমের ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড অন্তর্গত ডাঙ মহিশিলা গ্রামে পানীয় জলের দাবিতে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের।
জানা গিয়েছে, ডাঙ মহিশীলা গ্রামের লক্ষী মন্দির এলাকায় বিগত ১০ বছর ধরে পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে। বিগত বোর্ডের কাউন্সিলরকে জানানো হয়েছিল। কিন্তু লাভ হয়নি কিছুই। বাসিন্দাদের দাবি, গত পুরভোটের আগে বর্তমান কাউন্সিলর যখন পুরভোটের প্রচারে এসেছিলেন তাকে সমস্ত সমস্যার কথা জানানো হয়েছিল।
পানীয় জলের সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তারপরেও কিছু হয়নি। গত তিন দিন ধরে ওই এলাকা প্রায় জল শূন্য। বাসিন্দারা জানান, স্থানীয় বাসিন্দাদের বাড়ির কুয়োর জল তলানিতে ঠেকেছে। এছাড়াও পুকুর ও কুয়োর জল নোংরা, পান যোগ্য নয়। দীর্ঘদিন ধরেই টাইম কলে জল আসে না।
সেই কারণে, সোমবার হাতের সামনে শাসক দলের কাউন্সিলর জ্যোতিশঙ্কর কর্মকারকে সামনে পেয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে বাসিন্দারা। বাসিন্দারা কাউন্সিলরের কাছে অভিযোগ করেন, বহু বার বিভিন্ন জায়গায় আবেদন করা সত্ত্বেও কোনও কাজ হয়নি। তাই পানীয় জল যতক্ষন না পাবেন তারা কাউন্সিলরকে যেতে দেবেন না। কয়েক ঘণ্টা কাউন্সিলর আটকে রাখে বাসিন্দারা।
স্থানীয় এক বাসিন্দা সজল রানা বলেন, “আমাদের গ্রামে গত দশ বছর ধরে জলের সমস্যা রয়েছে। যতবার যিনি কাউন্সিলর হন, সমস্যার কথা শুনে চলে যান। কিন্তু সমস্যার কোনও সমাধান হয় না। আমরা চাই দ্রুত এই জলের সমস্যার সমাধান হোক, না হলে আরও বৃহত্তর আন্দোলন হবে।”
গ্রামবাসীদের কথায়, স্থানীয় কাউন্সিলরকে এর আগেও একাধিকবার সমস্যার কথা জানানো হয়েছে। অথচ পানীয় জল নিয়ে এলাকায় কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।দীর্ঘক্ষণ গ্রামবাসীদের দ্বারা অবরুদ্ধ হওয়ার পর জলের ট্যাংকার আনার ব্যবস্থা করেন কাউন্সিলর।
ওই গ্রামে জলের ট্যাংকার পাঠিয়ে আপৎকালীন জলের ব্যবস্থা করা হয়। কাউন্সিলের কাছে দ্রুত জলের সমস্যা মেটার আশ্বাস পেয়ে অবরোধ তুলে নেয় গ্রামবাসীরা। তবে আগামী দিনে গ্রামে জল না এলে আবারও আন্দোলন হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে বাসিন্দারা।