Kolkata News : ফিটনেস-ঐতিহ্য যোগে সাতসকালে শাড়ি দৌড় – kolkata saree run programme was organised


এই সময়:অরুণাচলপ্রদেশ থেকে সিয়াচেন গ্লেসিয়ার – সাড়ে চার হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ ট্রান্স হিমালয়ান ট্রেকিংয়ে অংশ নিয়েছিলেন এম কোকিলা সুধা। সাত মাসের দীর্ঘ ওই ট্রেকিংয়ে ৩৯টা দুর্গম পাস পার করতে হয়েছিল ওঁদের। পেশায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী কোকিলা তাঁর অসমসাহসী ওই অ্যাডভেঞ্চারের জন্য তেনজিং নোরগে পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছিল। সেই কোকিলা এখন ৬৫ বছরে। রবিবার অন্য একটা ‘অ্যাডভেঞ্চারে’ তিনি কলকাতায়।

Chiranjeet Chakraborty : ‘প্রসেনজিৎ পয়সা দিতে পারে তাই…’, বিস্ফোরক চিরঞ্জিৎ
উত্তেজনায় শনিবার রাতে ভালো করে ঘুমোতেই পারেনি সাত বছরের আত্রেয়ী। রাত ফুরোলেই তার জন্য অপেক্ষা করছে নতুন এক অ্যাডভেঞ্চার। ঘুম থেকে উঠতে যাতে দেরি না হয় তার জন্য মা রুক্মিনীকে বার বার বলে রেখেছিল সে। অবশ্য মা নিজেই ওই অ্যাডভেঞ্চারে অংশ নিতে চলেছেন তাঁর মা-কে নিয়ে। সুতরাং তিনটি প্রজন্মই উত্তেজনাটা রীতিমতো উপভোগ করেছেন।

Siachen Border : সিয়াচেনে মোতায়েন প্রথম মহিলা সেনা, কে এই ক্যাপ্টেন শিবা চৌহান?
এমনিতে সংসার সামলানো মহিলাদের স্বাস্থ্য নিয়ে উদাসীনতার শেষ নেই। এই বিষয়ে সচেতনতা জাগাতেই রবিবার কলকাতায় আয়োজন করা হয়েছিল শাড়ি দৌড়ের। অংশ নেওয়ার একটাই শর্ত-পুরোপুরি ভারতীয় ঐতিহ্য মেনে শাড়ি পরে অংশ নিতে হবে দৌড়ে। আয়োজক সংস্থা বেঙ্গালুরুর জেজে অ্যাকটিভের বক্তব্য স্পষ্ট – নতুন প্রজন্মের অনেকেই মনে করেন চটপট চলাফেরার জন্য শাড়ি খুব অনুকূল নয়। এই জন্যই অনেকে শাড়ি ছেড়ে অন্য পোশাকে বেশি স্বচ্ছন্দ্য। কিন্তু হাজার বছরের বেশি সময় ধরে ভারতীয় মহিলারা শাড়ি পড়েই জীবন কাটিয়েছেন। কোনও দুঃসাহসিক কাজই তাঁদের অসাধ্য ছিল না।

Road Accident : লরির ধাক্কায় টোটো উলটে ৪ জনের মৃত্যু
সেই জন্যই রবিবারের দৌড়ে আবশ্যিক পোশাক রাখা হয়েছিল শাড়িকে। যাঁরা মনে করেছিলেন শাড়ি পড়ে তিন এবং ছ’কিলোমিটারের দৌড়ে অংশ নেবেন শুধুই বয়স্করা, তাঁদের ধারণা ভুল প্রমাণ হতে দেরি হয়নি। সকাল সাড়ে ছ’টায় সল্টলেক স্টেডিয়ামে উপস্থিত ৪৩০০ অংশগ্রহণকারীর অনেকেই নতুন প্রজন্মের। এর মধ্যে ছিল টালিগঞ্জের বাসিন্দা সাত বছরের আত্রেয়ীর মতো বেশ কিছু খুদে।

Shantanu Banerjee ED : ‘জামাইয়ের মতো পরোপকারী-ভালো মানুষ হয় না’, শান্তনুকে ‘গুড বয়’ সার্টিফিকেট শাশুড়ির
ছিলেন ৮১ বছরের পুষ্পা গোয়েঙ্কাও। তাঁর বাড়ি নিউ আলিপুরে। শাড়ি এবং অ্যাডভেঞ্চারের নেশায় ইন্দোর থেকে এসে হাজির হয়েছিলেন এম কোকিলা সুধা। এদিনের দৌড় সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘ফিটনেসের কোনও বিকল্প নেই। মহিলারা নিজেদের সুস্থ রাখতে পারলে তবেই গোটা পরিবার মসৃণ ভাবে চলতে পারে। নিজেকে ফিট রাখার কাজটি শাড়ি পরেও করা যায়। রবিবারের ঘটনাই সেটা প্রমাণ করল।’

West Bengal Local News : সাহেবরামের ঘরে স্নান সেরেই ভোজ রামলালের
দৌড়ে অংশ নিতে আসা শাল্মলী সেনগুপ্ত ও রুক্মিনী ঘোষ ৮১ বছরের পুষ্পা গোয়েঙ্কা বলেন, ‘এমন একটা উদ্যোগে সামিল হতে পেরে খুব ভালো লাগল। যাঁরা বলেন শাড়ি সামলানো সমস্যা, তাঁদের বলব এটা আপনাদের ধারণা মাত্র। একটু চেষ্টা করেই দেখুন না অন্য রকম কিছু করার।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *