রাজ্য উদ্যান পালন দফতর ও কেন্দ্রীয় সংস্থা এ্যাপেডা-র উদ্যোগে মালদা জেলার আম চাষিদের নিয়ে একটি প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করা হয়। বিদেশে আম রফতানি করতে গেলে আমের গুণগতমান ভালো হওয়া প্রয়োজন। স্বাদে গন্ধে অতুলনীয় মালদার আম হলেও কৃষকদের পরিচর্যা প্রশিক্ষণের অভাবে ভালো মানের আম উৎপাদন সম্ভব হয় না।
তাই এবার ভালো মানের আম উৎপাদন করতে আমের মরশুম শুরু হতেই কৃষকদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হল উদ্যান পালন ও এ্যাপেডা-র উদ্যোগে। মালদা জেলা উদ্যান পালন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গতবছর ৩৪টি প্রজাতির মালদাও মুর্শিদাবাদের আম বিদেশে রফতানি করা হয়েছিল।
এই বছর দেশের স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি। সেই স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তিকে সামনে রেখে এই বছর মালদার ৭৫টি প্রজাতির আম বিদেশে পাঠানোর পরিকল্পনা হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে মালদা জেলা উদ্যান পালন দফতরের উদ্যোগে মালদাজেলার বিভিন্ন প্রান্তের ৫০ জন আমচাষি ও চারজন কলকাতার আম রপ্তানি কারককে নিয়ে এসে বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়।
প্রশিক্ষনে অংশগ্রহনকারী এক আম চাষি জানান, “একটা সময়ে বেশ বড় মুনাফা হত। তখন প্রত্যেক বছর বিদেশে আম রফতানি করা হত। বেশ কিছু কারণে বিগত কয়েক বছর ধরে এই রফতানি বন্ধ রাখা হয়েছে। আর তাতে মুনাফাও কম হচ্ছে। দেশীয় বাজারে মালদার আমের চাহিদা যতই থাকুক, বিদেশে রফতানির পর যেভাবে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন হয়, তাতে মুনাফার পরিমান অনেক”।
গোপাল সাহা নামের এক আধিকারিক জানান, “বিগত কয়েক বছরে ফলন খুব একটা ভালো হয়নি। তাই রফতানি বন্ধ রাখতে হয়েছিল। এবার আমের ফলনের পরিমান খুব ভালো। তাই আবার রফতানি বাড়ানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে”।