পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে রাজ্যের এই উদ্যোগ নিয়ে মেগা প্রচার চায় রাজ্য সরকার। তবে পঞ্চায়েত ভোটের মুখে এই ধরনের রাস্তা নির্মাণ নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধীরা। রাজ্যে সরকারের পালাবদলের পর রাস্তাঘাটের উন্নয়ন ঘটলেও জেলার অনেকাংশে এখনও কাঁচা রাস্তা রয়েছে বলে দাবি।
একাধিক জায়গায় স্থানীয় বাসিন্দাদের বিক্ষোভ প্রদর্শনের উদাহরণও রয়েছে প্রচুর। এমনকি রাস্তা নির্মাণ না হলে ভোট বয়কট করার হুমকিও দিয়েছে অনেক গ্রামের বাসিন্দারা। জনসাধারণের একাংশের ক্ষোভ প্রশমনের কারণেই ভোটের কয়েক দিন আগেই রাজ্য সরকারের এই নতুন উদ্যোগের আবির্ভাব বলে মনে করছেন অনেকেই।
দুয়ারে সরকারে ক্যাম্পে স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের এলাকার রাস্তার বেহাল দশার কথা তুলে ধরেন আবেদন করে। সেই আবেদনের ভিত্তিতে এবার রাজ্য সরকার ‘রাস্তাশ্রী’ প্রকল্পের মাধ্যমে রাস্তা নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ৩৮৯ টি রাস্তার অনুমোদন পাওয়া গিয়েছে।
সেই রাস্তার টেন্ডার প্রক্রিয়াও হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। কিছুদিনের মধ্যে সেই কাজ শুরু হয়ে যাবে। যে সমস্ত রাস্তা এখনও কাঁচা রয়েছে, সেগুলি বর্ষার আগে যাতে নির্মাণ করা যায় তার চেষ্টা চালাচ্ছে জেলা প্রশাসনের কর্তারা।
পঞ্চায়েত ভোটের আগে নতুন প্রকল্পের মাধ্যমে রাস্তা নির্মাণ নিয়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি তপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, “সরকারের যা দায়িত্ব ছিল রাস্তাঘাট ইত্যাদি সংস্কার করা হঠাৎ করে পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রাক্কালে কেন করতে যাচ্ছে ? এটা নিয়ে প্রশ্ন চিহ্ন থাকছে। আর সব ক্ষেত্রেই তো দুর্নীতি চলছে, আবার নতুন করে টেন্ডার করার মধ্য দিয়ে আবার কিছু টাকা রোজগার করার পথ ছাড়া আর কিছু না। আদতে কোনও কাজ হবে কিনা এ বিষয় নিয়ে সন্দেহ আছে।”
তবে বিরোধীদের অভিযোগের গুরুত্ব দিতে নারাজ শাসক দল। তমলুক সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি প্রাক্তন মন্ত্রী সৌমেন কুমার জানান, বিরোধীদের কাজ বিরোধীতা করা। ২০১১ সালের পর থেকে বাংলার পাশাপাশি পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় রাস্তাঘাটের কতটা উন্নয়ন হয়েছে তা সাধারণ মানুষ দেখছে। সব কাজ একসঙ্গে শেষ করা যায় না।
তাই আবার বাকি থাকা রাস্তার কাজ শুরু হবে দ্রুত। সাধারণ মানুষ যেটা চাইছে, রাজ্য সরকার সেই কাজ আগে করার চেস্টা করে চলেছে।