যাত্রীবোঝাই বাসে ধাক্কা লরির
বাসের ইঞ্জিনের বাঁদিক দারুণ ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঘটনায় প্রায় ১২ জন যাত্রী জখম হন। আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (Bardhaman Medical College and Hospital) ও বর্ধমানের একটি বেসরকারি নাসিংহোমে ভর্তি করা হয়।
সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের (NH19) ফাগুপুর পার্কিং এর কাছে। এরপরেই স্থানীয় বাসিন্দারা প্রথমে উদ্ধারের কাজে হাত লাগান। পরে বর্ধমান থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ৮ জন যাত্রী বর্ধমান হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও ৫ জন যাত্রীকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ ডাম্পার ও বাস দুটিকেই আটক করেছে। স্থানীয় বাসিন্দা ও বাসে থাকা যাত্রীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রচণ্ড গতিতে থাকা বাসটি নিয়ন্ত্রন হারাতেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ৩ জনের আঘাত গুরুতর। তাঁদের হাসপাতালে রেখেই চিকিৎসা করা হচ্ছে। তবে বাসের অধিকাংশ যাত্রীরাই সুরক্ষিত রয়েছে।
বাস দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, “রাস্তার ধারে দোকানে দাঁড়িয়ে চা খাচ্ছিলাম। হঠাৎ করে বিশাল জোরে ধাক্কা লাগার আওয়াজ পাই। দেখি একটি যাত্রীবাহী বাস একটি ডাম্পারকে ধাক্কা মেরেছে। বাসে থাকা যাত্রীরা আতঙ্কে চিৎকার চেঁচামেচি জুড়ে দেন। আমি ও আরও কিছু স্থানীয় বাসিন্দারা সেখানে গিয়ে তাদের বাস থেকে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করি। আরও বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারত। যদিও যাত্রীদের অধিকাংশই সুরক্ষিত ছিলেন”।
এক বাস যাত্রী ক্ষোভের সুরে বলেন, বাসের চালককে বারবার গতি নিয়ন্ত্রনের কথা বলা হলেও চালক তাতে কর্ণপাত করেননি। যদিও এক দুর্ঘটনার পরে বাসের চালক ও খালাসি পলাতক বলে পুলিশ জানিয়েছে। ওই দুজনের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের বিভিন্ন জায়গায় বারবার দুর্ঘটনা ঘটছে। বেশ কিছু মৃত্যুও হয়েছে এই দুর্ঘটনাগুলিতে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দায়ী থাকছে বেপরোয়া গতি। প্রশাসনের বক্তব্য, ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কে নজরদারি রয়েছে। বেপরোয়া গতি দেখলেই সেই যানবাহনকে জরিমানা করা হচ্ছে।