Santanu Banerjee : শান্তনুকে টাকা দিলে কি সরকারি দফতরে বদলিও, মিলেছে নথি, আদালতে লিখিত দাবি ইডির – if santanu banerjee is given money will he be transferred to a government office ed found informations


এই সময়: স্কুলে শিক্ষক বা শিক্ষাকর্মী পদে চাকরি পাইয়ে দেওয়া তো বটেই, এমনকী রাজ্য সরকারের যে কোনও দপ্তরে বদলি বা পোস্টিংয়েও কি হাতযশ ছিল শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের? স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত হুগলির তৃণমূল নেতা শান্তনুর বাড়িতে গত ২০ জানুয়ারি তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু নথি মিলেছে। যা থেকে ইডি-র তদন্তকারীরা মনে করছেন, স্কুলের পাশাপাশি অন্য সরকারি দপ্তরেও ট্রান্সফার-পোস্টিংয়ে প্রভাব খাটানোর ক্ষমতা ছিল তাঁর।

WB Recruitment Scam : আঁতাঁত ‘ত্রিমূর্তি’র, চাকরির কুশীলব কুন্তল-তাপস-শান্তনু
ব্যাঙ্কশাল কোর্টে লিখিত ভাবে ইডি জানিয়েছে, আত্মীয়-পরিজন মারফত প্রাথমিক শিক্ষক থেকে শুরু করে স্কুলশিক্ষার বিভিন্ন স্তরে শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী পদে চাকরি পাওয়ার জন্য প্রার্থীরা নথিপত্র পাঠাতেন শান্তনুর অফিসে। রাজ্যের বিভিন্ন দপ্তরে ট্রান্সফার-পোস্টিং সংক্রান্ত কাগজপত্রও সে ভাবেই পাঠানো হতো তাঁর কাছে।

Recruitment Scam : ম্যারথন জেরা শেষে নিয়োগ দুর্নীতিতে ED-র হাতে গ্রেফতার শান্তনু
যদিও তিনি কী ভাবে পোস্টিং বা বদলিতে প্রভাব খাটাতেন, তার জন্য টাকা নেওয়া হতো কি না, হলে অঙ্কটা কত – সে সব শান্তনুকে জেরা করে জানার চেষ্টা করছে ইডি। তদন্তকারীদের সন্দেহ, প্রভাবশালীদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে, টাকার বিনিময়ে চলত ট্রান্সফার-পোস্টিং। যদিও শান্তনুর আইনজীবীদের বক্তব্য, ইডি-র এই সব দাবির কোনও ভিত্তি নেই। তাঁদের মক্কেলকে ফাঁসানোর জন্য এ সব কথা বলা হচ্ছে। দু’দিনের ইডি হেফাজত শেষে আজ, সোমবার শান্তনুকে ফের আদালতে তোলা হবে।

Santanu Banerjee : সিমকার্ডের দোকান থেকে ধাবা, রিসর্টের মালিক! শান্তনুর উত্থানে হতবাক পড়শিরা
ইডি-র দাবি, স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত তাপস মণ্ডল এবং কুন্তল ঘোষের সঙ্গে নিয়মিত যোগযোগ হতো শান্তনুর। তাপস-কুন্তল স্বীকার না করলেও, আর্থিক লেনদেনের যে সব সূত্র মিলছে, তাতে স্পষ্ট যে তিনজনের কারসাজিতেই অযোগ্যরা চাকরি পেতেন। শান্তনুর উপরে আরও কেউ ছিলেন কি না, তা খতিয়ে দেখছে ইডি। তাঁকে দফায় দফায় জেরা করা হচ্ছে।

Santanu Banerjee : রাজনীতিতে উল্কার গতিতে উত্থান, কী ভাবে দুর্নীতিতে জড়ালেন হুগলির শান্তনু?
আরও নানা সূত্রে ইডি জেনেছে, হুগলি জেলা জুড়ে ধীরে ধীরে প্রভাব বিস্তার করেছিলেন শান্তনু। গঙ্গার পাড় ধরে একের পর এক জমি কিনতেন প্রভাব খাটিয়ে। শান্তনুর রিসর্টে কয়েকজন সরকারি আধিকারিককে ঘন ঘন আসা-যাওয়া করতেও দেখা যেত। কেউ কেউ আসতেন নীলবাতি গাড়ি নিয়ে। শান্তনুর রিসর্টে কোনও রেজিস্টার খাতা ছিল কি না, যে সব গাড়ি ঢুকত, তাদের নম্বর লেখার ব্যবস্থা ছিল কি না, রিসর্টের কর্মীদের থেকে তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।

Bonny Sengupta : অভিনেতা বনিকে তলব ED-র, নিয়োগ দুর্নীতির টাকা টলিউডেও?
এগুলো যদি থাকে, তা হলে সেখান থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শিক্ষা দপ্তর বা রাজ্য সরকারের অন্য বিভাগে কোন কোন অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রেখে শান্তনু তাঁর প্রভাব খাটাতেন, সেটা অনেকখানি স্পষ্ট হবে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।

Manoranjan Bapari on Shantanu Banerjee: ‘নির্বাচনের সময় শান্তনু কোনও সাহায্য করেনি’, অভিযোগ বলাগড়ের বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারীর
বলাগড়ে আসাম রোডে শান্তনুর একটি আধুনিক রেস্তরাঁ রয়েছে। রেস্তরাঁটির কয়েকজন প্রাক্তন কর্মীর দাবি, নানা সময়ে চাকরিপ্রার্থীরাও সেখানে শান্তনুর সঙ্গে দেখা করতে যেতেন। চা-কফি সহযোগে চলত চাকরির বিনিময়ে টাকার ‘ডিল’। রেস্তরাঁর ঠিক উল্টো দিকে শান্তনুর গেস্ট হাউস। সেখানেও চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে কথাবার্তা হতো। নাম না-প্রকাশের শর্তে এক প্রাক্তন কর্মীর বক্তব্য, ‘কুন্তল ঘোষ প্রায়ই ওই গেস্ট হাউসে আসা যাওয়া করতেন। সেখানে শান্তনুর সঙ্গে অনেকক্ষণ একান্তে কথা হতো কুন্তলের।’

Santanu Banerjee: সিম বিক্রেতা থেকে বিদ্যুৎ সংস্থার সামান্য চাকরিতেও অগাধ সম্পত্তি! শান্তনুর লাইফস্টাইল নিয়ে অস্বস্তি দলেও
যদিও ইডি সূত্রে খবর, জেরায় শান্তনুর দাবি, কুন্তলকে তিনি ‘ছোট ভাই’ বলতেন। দলীয় সূত্রেই কুন্তলের সঙ্গে পরিচয়। এর বেশি কিছু না। কিন্তু এ পর্যন্ত বিভিন্ন সূত্রে তদন্তকারী অফিসারেরা যে তথ্য পেয়েছেন, তাতে দু’জনে আঁতাঁত করেই টাকার বিনিময়ে অযোগ্যদের চাকরি পাওয়াতে প্রভাব খাটিয়েছেন বলে উঠে এসেছে। রেস্তরাঁর এক প্রাক্তন কর্মচারীর কথায়, ‘কুন্তল যখনই গেস্ট হাউসে আসতেন, প্রথমে শান্তনুর অত্যন্ত আস্থাভাজন কয়েকজন শাগরেদ সেখানে পৌঁছে যেতেন। তার পর পৌঁছতেন শান্তনু। তারপর আলাদা ভাবে কথা হতো কুন্তলের সঙ্গে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *