South 24 Parganas News : সম্প্রীতির নজির, হিন্দু বন্ধুর শেষকৃত্যের দায়িত্ব পালন ডায়মন্ডহারবারের রেজাউলের – south 24 parganas muslim friend took responsibility of funeral of his hindu friend


West Bengal News : হিন্দু–মুসলিম সম্প্রীতির সাক্ষী থাকল ডায়মন্ডহারবার। অসহায় এক হিন্দু বন্ধুর শেষকৃত্য সম্পন্ন করার সমস্ত দায়িত্ব নিলেন এক মুসলিম ব্যক্তি। মুসলিম ব্যক্তির এই ধরনের পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়েছেন অনেকেই। জানা যায়, ডায়মন্ডহারবার পুরসভার (Diamond Harbour Municipality) ১৪ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা তিলক রায়ের রবিবার রাতে শারীরিক অসুস্থতায় মৃত্যু হয়। মৃত তিলক রায়ের পরিবারের কোনও সদস্য না থাকায় তাঁর শেষকৃত্য করতে এগিয়ে আসেন তারই মুসলিম বন্ধু রেজাউল করিম মল্লিক। ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে বন্ধু তিলক রায়ের শেষকৃত্য সম্পন্ন করেন রেজাউল।

Marriage : ‘মুসলিম তার নয়ণ-মণি, হিন্দু তাহার প্রাণ’ মাদ্রাসায় ১৭ জোড়া হিন্দু যুগলের বিয়ে দিয়ে নজির স্থাপন
রীতি মেনেই হিন্দু বন্ধুর শেষকৃত্য করেন ওই মুসলিম যুবক। এমনই সম্প্রীতির নজির গড়লেন ডায়মন্ডহারবার পুরসভার ১৩ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা রেজাউল করিম মল্লিক। শেষকৃত্য সম্পন্ন হওয়ার পর রেজাউল বলেন, “তিলকের বাবা বিদ্যুৎ দফতরে কাজ করতেন ও তার মা স্থানীয় স্কুলের শিক্ষিকা ছিলেন। বর্তমানে তিলকের পরিবারে তার কেউ নেই। তিলক অবিবাহিত ছিলেন। গত রবিবার রাতে ডায়মন্ড হারবার জেলা হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়”।

Marriage : দাঙ্গা-বিভেদের মাঝেই অনন্য এক সম্প্রীতির নিদর্শন, হিন্দু মন্দিরে বিয়ে সম্পন্ন মুসলিম যুগলের
এই খবর পাওয়ার পর পাড়ার ছেলেদেরকে নিয়ে হাসপাতালে যান রেজাউল। এরপরেই তিলক রায়ের মৃতদেহ নিয়ে শ্মশানে যান। সেখানেই হিন্দু রীতি মেনেই বন্ধুর শেষকৃত্য সম্পন্ন করেন মুসলিম যুবক রেজাউল করিম। হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী পিণ্ডদান থেকে সব কাজই করলেন তিনি। মুসলিম এই বাসিন্দার উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন অনেকেই। অনেকেই আর্থিক সাহায্যের জন্য এগিয়ে এসেছেন।

Asansol News : ছেলেকে হারিয়েছেন, পরম স্নেহে ‘মেয়ে’-কেও দিলেন বিদায়! অনন্য নজির আসানসোলে
এই বিষয়ে রেজাউলের বক্তব্য, “আমি তো কোনও ধর্মতে জন্ম নিইনি। পুরুষ মানুষ হিসাবে জন্মেছি। ওদের ধর্ম পালন করলাম। আমার কোনও জাতিভেদ নেই। মানুষ হিসাবে যে কাজ করার দরকার, সেই কাজ আমি করলাম। আর সব থেকে বড় কথা তিলক আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের মধ্যে একজন ছিলেন।

Satish Kaushik Death: মৃত্যুর আগের দিনে হোলি পার্টিতে সতীশ, রঙিন মুহূর্তের শেষ পোস্টে চোখে জল ভক্তদের
সবসময়েই তাঁর সঙ্গে ওঠাবসা, আড্ডা গল্প, এমনকি খাওয়া দাওয়া পর্যন্ত করেছি। আর সবাই জানেন যে ওর পরিবারে আর কেউ নেই। তাই আমার বা আমাদের বন্ধুদের এটা দায়িত্ব যে তাঁর শেষ কাজটি অন্তত ভালোভাবে হোক। সেটাই আমি করেছি। এতে আমি মনে করিনা বিশাল কৃতিত্বের কিছু আছে”।

Uttar 24 Pargana: প্রেমিকের বাড়ি এসে বিয়ের জন্য চাপ! বাগুইআটিতে বহুতল থেকে ঝাঁপ যুবকের
এই বিষয়ে ওই এলাকারই স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, “আজ যে ঘটনাটি দেখলাম, তা অভূতপূর্ব ঘটনা। মুসলিম বন্ধু হিন্দু বন্ধুর জন্য যে কাজ করলেন, সেটা উদাহারণ স্বরূপ ইতিহাসে থেকে যাবে। এই ঘটনার সাক্ষী থাকতে পেরে আমরা আনন্দিত। এটাকে ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না”।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *