১৮ জন স্কুল পড়ুয়ার মধ্যে চারজনের চোট গুরুতর বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। হাতে মোবাইল নিয়ে চালক গাড়ি চালাচ্ছিল বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপন থানার দাঁড়ালহাট ভূতনাথ এলাকায় স্কুল পড়ুয়াদের একটি পুলকার উলটে যায়।
বিষয়টি নজরে আসতে সঙ্গে সঙ্গে গুরুতর আহত পড়ুয়াদের চিকিৎসার জন্য বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। যদিও আহতদের মধ্যে ৯ জনকে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
এমনকি বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন পুলকারের চালক উৎপল বর্মন নিজেও। পথ দুর্ঘটনার খবর পেয়ে বালুরঘাট হাসপাতালে ছুটে আসেন বালুরঘাট পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কল্পনা কিস্কু। আসেন DSP ট্রাফিক বিল্বমঙ্গল সাহা সহ অন্যান্য পুলিশ কর্মীরা।
আহত পড়ুয়াদের মধ্যে চারজনের অবস্থা বেশি গুরুতর বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসেন অভিভাবকরাও। পরে DSP ট্রাফিক বিলমঙ্গল সাহা গাড়ির চালকের সঙ্গে কথা বলেন।
কীভাবে পথ দুর্ঘটনা ঘটল তা চালকের কাছে জানতে চাওয়া হয়। এছাড়াও ASP ট্রাফিক বিল্বমঙ্গল সাহা যেই জায়গায় পথ দুর্ঘটনা ঘটেছে সেই জায়গা পরিদর্শন করেন। কথা বলেন এলাকাবাসীর সঙ্গে। কীভাবে এরকম দুর্ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখা হয়।
জানা গিয়েছে, বালুরঘাট ও তপন ব্লকের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় ১৮ জন পড়ুয়াকে পুলকারে করে দাঁড়ালহাট এলাকায় অবস্থিত একটি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। যাওয়ার পথে ভূতনাথ এলাকায় হঠাৎই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে উল্টে যায় গাড়িটি৷ প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, পুলকার চালকের এক হাতে মোবাইল ছিল। ফোনে কথা বলতে বলতে গাড়ি চালাচ্ছিলেন। যার জন্য এই পথ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি তাদের৷ পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
অন্যদিকে স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, স্কুলের তরফে কোন গাড়ির ব্যবস্থা নেই। অভিভাবকরাই এই গাড়ি ঠিক করে দিয়েছে, পড়ুয়ায়দের নিয়ে আসা ও যাওয়ার জন্য৷ পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।