কী অভিযোগ শুভেন্দুর?
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর ১১ জুন তৃণমূল ভবনে গিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে গলায় উত্তরীয় পরিয়ে দেন। সেই সময়ই দলত্যাগ আইনে মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের দাবি তোলেন শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু, এরপরই দেখা যায় বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান নিযুক্ত করা হয় মুকুলকে। যা সাধারণত বিরোধী দলের নেতাকেই করা হয়।
এরপর থেকেই মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজ নিয়ে দীর্ঘ টানাপোড়েন চলতে থাকে। BJP আছেন মুকুল রায় (Mukul Roy), এমনটাই রায় দেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় (Biman Banerjee)। গত জুনে দীর্ঘ শুনানির পরে এই সিদ্ধান্ত জানান বিধানসভার অধ্যক্ষ। মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ বাতিলের আবেদন খারিজ করে দেন তিনি।
মুকুলের বিধায়ক পদ নিয়ে দীর্ঘ টানাপোড়েন
পরবর্তীতে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রায় পুনর্বিবেচনা করতে বলে হাইকোর্টে যান বিরোধী দলনেতা। তাঁর সুপারিশের ভিত্তিতে ফের শুনানি হয়। কিন্তু, তাতেও মুকুলের বিধায়ক পদ বাতিলের আবেদন খারিজ হয়ে যায়। মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের আবেদনে বিধানসভায় ৫ দফায় শুনানি হয়েছিল। কিন্তু, প্রতিবারই অধ্যক্ষ তাঁকে BJP-র বিধায়ক হিসেবে উল্লেখ করেন।
এরপর সরাসরি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন শুভেন্দু। কিন্তু, সুপ্রিম কোর্ট মামলাটি কলকাতা হাইকোর্টে ফেরত পাঠায়। মুকুল রায়ের বিধায়কপদ খারিজ নিয়ে বিধানসভার স্পিকারের সিদ্ধান্তে খুশি হতে পারেননি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ফলে শীর্ষ আদালতের নির্দেশ অনুসারেই শুভেন্দু সোমবার এই ইস্যুতে আবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন।
