সিপিএম সাফ; এবার পিসি-ভাইপোকে গ্যারেজ করব, নন্দীগ্রামে বিস্ফোরক শুভেন্দু


কিরণ মান্না ও বিক্রম দাস: নন্দীগ্রাম দিবসে শহিদ বেদীতে মালা দিয়েই নাম না করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করলেন শুভেন্দু অধিকারী। বিরোধী দলনেতার কথা পিসি-ভাইপোকে গ্যারেজ করে দেব। পাশাপাশি রাজ্য থেকে তৃণমূল কংগ্রেসকে সাফ করার শপথও নিয়ে নেন তিনি। পাশাপাশি নিশানা করেন পুলিসকেও।

আরও পড়ুন-‘৩০ মিনিটেই তল্লাশি শেষ! বসে চা-ব্রেকফাস্ট-লাঞ্চ খায়’, ইডি হানা নিয়ে বিস্ফোরক তেজস্বী

২০০৭ সালে জমি রক্ষার আন্দোলনে অংশ নিয়ে ১৪ মার্চ নন্দীগ্রামের গোকুলনগর, অধিকারী পাড়া মালপাড়া ও ভাঙাবেড়ায় পুলিসি অভিযানের সময় গুলিতে নিহত হন ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির ১৪ সদস্য-সহ সাধারণ মানুষ। আজ অধিকারীপাড়া ও সোনাচূড়ায় কর্মসূচি পালন করেন শুভেন্দু। সেকানে তিনি শহিদ বেদীতে মালা দেন। সেই অনুষ্ঠানের পরই বিস্ফোরক মন্তব্য করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। প্রসঙ্গত, নন্দীগ্রামে শহিদ দিবস পালন করার অনুমতিতে পেতে হাইকোর্টে দৌড়তে হয় শুভেন্দুকে।

নন্দীগ্রামে ঠিক কী বলেন শুভেন্দু অধিকাারী? শহিদ দিবসের অনুষ্ঠানে এদিন শুভেন্দু বলেন, তৃণমূলের ভীষণ গাত্র জ্বালা। ২০২১ সালে নেংরামি করেছে। ২০২২ সালে করার চেষ্টা করেছে। এবার নতুন ফন্দি এঁটেছিল। এখানে একশো দেড়শো জিহাদি জড়ো করে এলাকা দখল করার চেষ্টা করেছিল। এই নির্লজ্জ দলদাস পুলিস তা দেখছে। কী যুদ্ধে এখানে হচ্ছে? মানুষে খেতে পায় না। চাকরি পায় না। এই গ্রামের একশো ছেলে কর্ণাটকে গিয়ে না খেয়ে ফ্লাইওভারের নীচে রাত কাটায়। পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। এমনিতেই তো ঘরে ঢুকিয়ে দিয়েছি। বাকী যা আছে তাদের শেষ করব। এই শহিদ বেদীকে সামনে রেখে বলে গেলাম, সিপিএমকে সাফ করেছি। এবার পিসি ভাইপোকে একেবারে গ্যারেজ করব। 

শুভেন্দুর ওই মন্তব্য নিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, শহিদদের স্মরণ করতে এসেছেন। এটা আসলে খোলস। আসল লক্ষ্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করা। এর থেকে মানুষ বুঝতে পারে ওদের শহিদদের প্রতি দরদ কত।

শুভেন্দুকে পাল্টা নিশানা করেছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, যে শুভেন্দু অধিকারী পাড়ার মিউনিশিপ্য়ালিটির বুথ জিততে পারে না সে এখন বড়বড় কথা বলছে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে গদ্দারি করে চলে গিয়েছিল। দিল্লির নেতারা রাজ্যে ডেইলি প্যাসেঞ্জারি করার পরও তো গো হারা হেরেছে। এরা জনবিচ্ছিন্ন। আর কাকে কে জেলে ভরে? গত বছরের ডিসেম্বর থেকে তো তারিখ পেছচ্ছে। তারিখ-পে-তারিখ। আমরা কোনও তারিখ না দিয়ে বলছি, আজ নয়তো কাল ইডি-সিবিআইয়ের এই পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ যেদিন বন্ধ হবে সেদিন অন্য পরিস্থিতি হবে।

পিসি-ভাইপো বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে শুবেন্দু। এনিয়ে কুণাল বলেন, এক ডিসেম্বরের তারিখ ফেল করেছেন। এবার ফের এক ডিসেম্বরের কথা বলছেন। তখনও কি আপনারা এনিয়ে প্রশ্ন করবেন? আমরা বলছি, গ্রেফতার থেকে বাঁচতে বিজেপির কোলে বসে রয়েছেন। যেদিন ওই পলিটিক্যাল প্রটেকশন থেকে বের হবে সেইদিন জেলে ঢুকতে হবে শুভেন্দু অধিকারীকে। শারদায় জেলে ঢুকবে, নারদায় জেলে ঢুকবে। আমরা ওরকম তারিখ দিই না।

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App) 





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *