আপাতত অ্যাডিনো ভাইরাস পরীক্ষা করাতে নমুনা কলকাতায় (Kolkata) স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিনে পাঠানোর কথা বলা হয়েছে। উত্তরবঙ্গের জনস্বাস্থ্য দফতরের OSD ডা: সুশান্ত রায় বলেছেন, “অ্যাডিনো ভাইরাসের পরীক্ষা করাতে প্রয়োজনে এখন কলকাতায় নমুনা পাঠানো হবে পরীক্ষার জন্য। গত সপ্তাহে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি হওয়া কিছু শিশুর নমুনা পরীক্ষার জন্য সংগ্রহ করা হয়েছিল। অ্যাডিনো ভাইরাস পরীক্ষার জন্য কিটও জোগাড় করা হয়। কিন্তু সেই কিটে পরীক্ষা করা সম্ভব হয়নি। যে কারণে এখন নমুনা যাতে কলকাতায় পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয় সেকথা বলা হয়েছে।”
এদিকে জ্বর শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি হওয়া অনেক শিশু সুস্থ হয়ে ওঠায় তাঁদের মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছে। নতুন করে শিশুমৃত্যু না হওয়ায় কিছুটা স্বস্তিতে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসকেরা। জ্বর শ্বাসকষ্ট নিয়েও নতুন করে কোনও শিশু সেখানে ভর্তি হয়নি।
যদিও রোজ আউটডোরে প্রচুর শিশুদের নিয়ে আসছেন অভিভাবকেরা। জানা গিয়েছে অধিকাংশ শিশুর জ্বর, সর্দি কাশি। চিকিৎসকেরা তাঁদের দেখে যাবতীয় ওষুধ দিচ্ছে। জ্বর খুব বেশী হলে কিংবা শ্বাস নিতে অসুবিধা হলে শিশুদের হাসপাতালে ভর্তি করানোর কথা বলা হয়েছে।
শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালেও আউটডোরে শিশুবিভাগে প্রচুর শিশুদের জ্বর থাকায় নিয়ে আসা হচ্ছে। বেশ কয়েকজন শিশু ভর্তি হয়েছে। তবে শীঘ্রই উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে অ্যাডিনো ভাইরাস পরীক্ষার চেষ্টা করা হচ্ছে। হাসপাতাল সূত্রে খবর কিট কেনার টেন্ডার সংক্রান্ত কিছু সমস্যা হচ্ছে।
কারণে সেই সমস্যা শীঘ্রই মিটিয়ে ফেলা হবে, এই দাবি করছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। গত কয়েক দিনে ১২জন শর্দি, কাশি ও জ্বর নিয়ে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তবে তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগই সুস্থ হয়ে গিয়েছে। উত্তরবঙ্গের হাসপাতালগুলির দাবি, অ্যাডিনো ভাইরাস উত্তরবঙ্গে তার প্রভাব সেভাবে বিস্তার করতে না পারেনি।