Chandrima Bhattacharya On CBI : কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে বিধানসভায় প্রস্তাব – chandrima bhattacharya raised question about cbi


এই সময়: সিবিআইয়ের আইনি বৈধতা নিয়ে এ বার বিধানসভায় প্রশ্ন তুললেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। সোমবার বিধানসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রবীণ বিধায়ক তাপস রায় কেন্দ্রীয় এজেন্সির অপব্যবহার নিয়ে একটি প্রস্তাবের উপর ভাষণ দিচ্ছিলেন। বিধানসভার মধ্যে বিরোধী দলনেতা এক মাসের মধ্যে রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ ভৌমিককে জেলে ঢুকিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন বলেও সেই ভাষণে উল্লেখ করা হয়।

Mamata Banerjee On CPIM : কেন ছাড়, সারদা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর তোপে সিপিএম
বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘কোনও বিধায়কের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা আইনি পদক্ষেপ করার আগে বিধানসভাকে জানাবে আশা করব। অনেক বিধায়কই নিরাপত্তার জন্য আবেদন করেন। বিধানসভা থেকে ব্যবস্থা করা হয়। এ ক্ষেত্রেও দেখা হবে।’

Arvind Kejriwal : কংগ্রেস-বামেদের বাদ দিয়েই কি বৈঠকের প্রস্তাব কেজরির!
চন্দ্রিমা বলেন, ‘সিবিআইয়ের কাজটা সংবিধানসম্মত নয় বলে গুয়াহাটি হাইকোর্ট রায় দিয়েছিল। তা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার সুপ্রিম কোর্টে স্থগিতাদেশ নিয়েছে। এই মামলার এখনও নিষ্পত্তি হয়নি।’ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দুই এজেন্সির বিরুদ্ধে রাজ্যের শাসকদলের আনা প্রস্তাবের উপর আলোচনার সময়ে বিজেপি বিধায়করা অবশ্য সভায় ছিলেন না। বিধানসভার লবিতে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘এই প্রস্তাব অবৈধ। তাই উপেক্ষা করতেই আলোচনায় অংশ নিইনি।’

Santanu Banerjee : ‘সোনার খনি’, চমকানোর মতো নাম আছে শান্তনুর দুই আইফোনে: ইডি
সিবিআই-ইডির নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘কেন্দ্রের শাসকদল কি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সিবিআই ও ইডিকে ব্যবহার করছে? সিবিআই ও ইডি রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা ও কর্মীদের ভয় দেখাচ্ছে। প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। সংবাদমাধ্যমে তদন্তের বিভিন্ন বিষয় প্রচার করা হচ্ছে তাদের নাম দিয়ে।

TMC Latest News : কেন্দ্র টাকা আটকানোয় বিধানসভায় সরব তৃণমূল
কাউকে গ্রেপ্তারের পর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময়ে দু’-চারজনকে দিয়ে বলানো হচ্ছে- ‘চোর, চোর’। সংবাদমাধ্যমে দেখানোও হচ্ছে তা। তদন্তই শেষ হলো না, বিচার হলো না, তা হলে চোর হলো কী করে?’

Adenovirus : সংক্রমণে শিশু মৃত্যুর আঁচ বিধানসভায়
তাপস রায়ের প্রস্তাবে পরিষ্কার বলা হয়, কেন্দ্রীয় এজেন্সি সিবিআই ও ইডি-কে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে রাজ্যের শাসকদলের নেতাদের বিরুদ্ধে তদন্তের নামে ব্যবহার করছে কেন্দ্রের শাসকদল। গ্রেপ্তারের নামে ভয়ের রাজনীতির সঞ্চার করা হচ্ছে। তাই রাজ্যের শাসকদলের বিধায়ক-মন্ত্রীদের অকারণে হয়রানি বন্ধ করার জন্য প্রস্তাবে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের আর্জি জানানো হয়েছে।

Locket Chatterjee and Partha Chatterjee : ‘পার্থদার খুব ভালো বান্ধবী…’, লকেটকে নিয়ে বিস্ফোরক তৃণমূল বিধায়ক
এর পাল্টা হিসেবে বিরোধী দলনেতা অবশ্য বলেছেন, ‘যে যা খুশি বলতে পারেন, ইডি বা সিবিআই উপযুক্ত প্রমাণ ছাড়া অতীতেও কারও বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। ভবিষ্যতেও নেবে না। ওটা ওদের নীতিবিরুদ্ধ। এ ভাবে রাজ্যে শিক্ষায় নিয়োগ, কয়লা পাচার, গোরু পাচারের মতো দুর্নীতির তদন্ত আটকানো যাবে না। অভিযুক্তরা শাস্তি পাবেন।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *