স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে দক্ষিণ পূর্ব রেলের শালিমার ষ্টেশন থেকে এক হকারকে আটক করে আরপিএফ। খবর পেয়ে সহকর্মীকে বাঁচাতে অন্যান্য হকাররা সেখানে গিয়ে উপস্থিত হন। আরপিএফের কাছে ওই হকারকে ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করা হলেও কোনও কাজ হয়নি। আরপিএফ তাঁকে না ছাড়ায় বিভিন্ন ষ্টেশনে রেল অবরোধ শুরু করেন হকাররা।
রেল অবরোধ প্রসঙ্গে জাতীয় বাংলা সম্মেলনের সাঁতরাগাছি কমিটির কনভেনার মলয় সাহা বলেন, “মঙ্গলবার সকালে শালিমার ষ্টেশন থেকে চেঙ্গাইলের বাসিন্দা সোনু নামে এক হকারকে ১০০০ টাকা জরিমানা করে। সোনু জরিমানার টাকা না দিতে পারায় তাঁকে আটক করা হয়। অনুরোধ করলেও আরপিএফ কর্মীরা তাঁকে না ছেড়ে আদালতে পাঠিয়ে দেন। আর আরপিএফের এই অন্যায় জুলুমের প্রতিবাদে হকাররা বিভিন্ন ষ্টেশনে রেল অবরোধ করেছে।”
আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, সম্প্রতি মৌড়িগ্রাম, আন্দুল, সাঁতরাগাছি, শালিমার, উলুবেড়িয়া ষ্টেশনে হকারদের নানাভাবে জরিমানা করছে আরএপিএফ। গরির হকারদের জরিমানা করার কারণে দীর্ঘদন ধরে হকারদের মধ্যে ক্ষোভ ছিল। হকারকে গ্রেফতার করার সেই অভিযেোগের বহিঃপ্রকাশ হয়েছে।
অন্যদিকে হকারদের অবরোধের কারণে ট্রেনের মধ্যেই আটকে পড়েন অনেক নিত্যযাত্রী। ফুলেশ্বস স্টেশনে আটকে পড়া নিত্যযাত্রী মলয় পাল এই প্রসঙ্গে বলেন, “কারও আন্দোলনের জন্য এইভাবে ট্রেন অবরোধ করা উচিত নয়। দীর্ঘক্ষণ ধরে আমরা এখানে আটকা পড়ে রয়েছি। কখন ট্রেন ছাড়বে বলতে পারছি না।”
অন্যদিকে আজও স্বাভাবিক হচ্ছে না শিয়ালদা-রাণাঘাট শাখার ট্রেন চলাচল। নৈহাটি অবধি নন-ইন্টারলকিংয়ের কাজ হয়ে গেলেও কল্যাণী অবধি সেই কাজ এখনও বাকি। রেলওয়ে সূত্রে খবর, সেই কাজ শেষ হতে এখনও ৭ দিন সময় লাগবে। ২০ মার্চের আগে কোনওভাবেই পরিষেবা স্বাভাবিক হবে না। সেই কারণে ১৩ জোড়া লোকাল ট্রেন বাতিল করে দেওয়া হয়েছে।
