অন্যদিকে, ”কুন্তল শান্তনুকে বহিষ্কার দলের নেতা কর্মীদের কাছে বার্তা। দুর্নীতির সঙ্গে যারা যুক্ত থাকলে দল কখনই তাদের পাশে দাঁড়াবে না। দলের এই সিদ্ধান্ত প্রমাণ করেছে দুষ্কৃতী হোক বা দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তি হোক দল কাউকে সেফগার্ড করছে না,” দুই যুবনেতাকে বহিষ্কার প্রসঙ্গে বললেন হুগলি শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলা যুব সভানেত্রী রুনা খাতুন। বলাগড় ব্লক যেখানে শান্তনু কুন্তলের বাড়ি সেই ব্লকের তৃনমূল সভাপতি নবীন। গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ”এটা হওয়ারই ছিল।দল সঠিক সিন্ধান্ত নিয়েছে। দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেয় না দল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্রয় দেন না দুর্নীতিকে। তাই রাজ্যে ইডি সিবিআই এভাবে তদন্ত করছে।”
বিজেপি হুগলি সাংগঠনিক জেলা সম্পাদক সুরেশ সাউ বলেন,”কুন্তল শান্তনুকে বহিষ্কার করে তৃণমূল স্বচ্ছ এটা প্রমাণ করা যাবে না। তাদের দলে বড় বড় রাঘব বোয়াল আছে। তাদের কী হবে? কেন মাথাদের বহিষ্কার নয়।?” প্রশ্ন তুলছেন বিজেপি নেতা।
সিপিএম হুগলি জেলা মুখপাত্র অর্ণব দাসের কটাক্ষ,” যতদিন দলে আছে তারা সম্পদ চুরির দায়ে ধরা পড়লেই তারা জঞ্জালের আস্তানা।কিন্তু সাড়ে তিনশো কোটি টাকা কোথায় গেল ? তার ভাগ কি দলের নেতারা পায়নি? আসল মাথাকে ধরতে হবে এবং সঠিক তদন্ত করতে হবে।”
Shantanu Banerjee Video: ED দফতর থেকে বের করা হল শান্তনুকে
হুগলি জেলা কংগ্রেসের নেতা দেবব্রত চট্টোপাধ্যায় বলেন,তৃণমূল হল বাবলা কাঁটার ঝাড়।গোটা দলটাই বিষবৃক্ষ।গোটা দলটাই দুর্নীতিগ্রস্ত। শান্তনু কুন্তলকে বহিষ্কার করে লোক দেখানো হচ্ছে। অনেক আগে মানিক ভট্টাচার্য, অনুব্রত মন্ডল গ্রেফতার হয়েছে তাদের ছাড় দিয়ে শান্তনু কুন্তলকে বাদ দিয়ে মুখ বাঁচাতে চাই।গোটা বাংলা আজ সাগরদীঘি হয়ে আছে।যেখানে ভোট হবে সেখানে তৃনমূল হারবে।