আবার কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক মুকুল রায় বিজেপিতেই আছেন বলে বিধানসভার অধ্যক্ষ যে রায় দিয়েছিলেন, তা চ্যালেঞ্জ করে এ দিনই কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছেন শুভেন্দু। বিধানসভার অধ্যক্ষের নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে এর আগে সুপ্রিম কোর্টেও মামলা করেছিলেন বিরোধী দলনেতা। কিন্তু দেশের শীর্ষ আদালত মামলা শুনতে আপত্তি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করার সুযোগ দেয়। সেই সূত্রেই এ দিন হাইকোর্টে নতুন মামলা করেন শুভেন্দু।
এ দিন অধ্যক্ষের কাছে শুভেন্দু ছাড়াও যান দলের মুখ্যসচেতক মনোজ টিগ্গা, মহিলা বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল। বৈঠকে বিরোধী দলনেতা জানান, দলত্যাগী বিধায়কদের বিষয়ে অধ্যক্ষ যেন তাঁর অবস্থান স্পষ্ট করেন। যে সব বিধায়ক দলত্যাগ করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইন প্রয়োগ করা হোক। তাঁরা অধ্যক্ষের কাছে বিজেপির দলত্যাগী বিধায়কদের নিয়ে একটি স্মারকলিপিও পেশ করেন।
প্রসঙ্গত, বিরোধী দলনেতা হওয়ার পরে এই প্রথম শুভেন্দু অধ্যক্ষের ঘরে পা রাখলেন। এর আগে একাধিকবার অধ্যক্ষ বিরোধী দলনেতাকে ডাকলেও তিনি যাননি। বিধানসভায় কোনও অনুষ্ঠানেও তিনি অধ্যক্ষের সঙ্গে একমঞ্চে অংশ নেননি।
এই বিরোধের সূত্রপাত পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান পদে মুকুল রায়কে বসানো নিয়ে। অধ্যক্ষ বিশেষ ক্ষমতা বলে মুকুলকে এই পদে নিয়োগ করেছিলেন। এ নিয়ে আদালতের হস্তক্ষেপের পর বিরোধী দলনেতার দাবি মেনে অধ্যক্ষ মুকুল রায়কে দলত্যাগ বিরোধী আইনে সদস্যপদ খারিজ করা নিয়ে শুনানি করে জানিয়ে দেন, তিনি এখনও বিজেপিতেই রয়েছেন।
পরে পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান পদ থেকে মুকুল সরে দাঁড়ালে ওই পদে আর এক বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীকে বসানো হয়। তিনি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পর ওই পদে বসানো হয়। অধ্যক্ষের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিজেপি বিধানসভার বিজ়নেস অ্যাডভাইজ়রি কমিটি বয়কট করে।