দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘বাঘিনী’র সঙ্গে তুলনা করে তিনি বলেন, সবাই এক হয়ে যাক ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাঘিনী ছিল, বাঘিনীই থাকবেন’। তবে সাধারণ মানুষকে ‘দিদি’র হাত ‘শক্ত করে ধরে রাখা’র আবেদন জানান তিনি।
একই সঙ্গে তিনি দাবি করেন এখন নব্য তৃণমৃলের জন্ম হয়েছে । তৃণমূল ট্রেড ইউনিয়ন সভাপতি বলেন, ”এই তৃণমূল সেই তৃণমূল নয়। যারা লুটপাট করে তৃণমূল তথা ‘দিদি’র বদনাম করেছে।” তারা এখন কেউই তাদের সঙ্গে নেই বলে তিনি দাবি করেন।
শাসক দলের শ্রমিক সংগঠনের নেতার বক্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছে বিজেপি। দলের নেতা ও ওন্দার বিধায়ক অমরনাথ শাখা বলেন, ”সাগরদিঘিতে গো হারা হারার পর তৃণমূলের আর মাথার ঠিক নেই। ওঁরা যাই বলুন এই তো সবে ট্রেলার শুরু, ছবি এখনো বাকি আছে। তৃণমূলের বাঘ এখন দিল্লীতে খাঁচাবন্দি, আর বাঘিনীর কি অবস্থা হবে তা কিছু দিনের মধ্যেই বোঝা যাবে। নব্য আদি বলে কিছু নয়, ‘তৃণমূলে টাকা চুরির প্রতিযোগিতা চলছে।” বলে দাবি অমরনাথ শাখার।
Speaker Biman Banerjee : বাইরন ‘তৃণমূলের লোক’,স্পিকারকে পাল্টা সেলিমের!
সম্প্রতি সাগরদিঘি উপনির্বাচনে বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন বিশ্বাস (Bayron Biswas) তৃণমূলের জেতা আসন থেকে জয় ছিনিয়ে নেন। প্রায় ২২ হাজারের বেশি ভোটের ব্যবধানে জয় কংগ্রেস প্রার্থীর। ২০১১ সাল থেকে দখলে থাকা আসন হাতছাড়া হওয়ার পিছনে তৃণমূল কংগ্রেস দায়ী সিপিএম-কংগ্রেসের সঙ্গে বিজেপির জোটকে। যদিও ওই আসনে কংগ্রেসকে ঘোষিতভাবে সমর্থন যুগিয়েছিল বামেরা। কিন্তু বিজেপির সঙ্গে মৌখিক কোনও জোট হয়নি। এই জোটকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনৈতিক বলে দাবি করেন।