এই নিয়ে কথা বলতে গেলে ছাত্র ছাত্রীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় বিশ্বভারতীর নিরাপত্তাকর্মীদের। এমনকি অন্ধ ছাত্রদেরও ধাক্কা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, বিশ্বভারতীর বিনয় ভবনে আজ B.ed এর পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষা দিতে এসে ছাত্র ছাত্রীরা জানতে পারে ৩০ জন পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হবে না।। কারণ, তাঁদের উপস্থিতির হার কম আছে। এরপরেই ছাত্র ছাত্রীরা ভবনে ঢোকার চেষ্টা করলে নিরাপত্তাকর্মীরা তাঁদের বাধা দেয়।
এমনকি ধাক্কাধাক্কিও করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। এক অন্ধ ছাত্রকেও ধাক্কা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এরপর ছাত্র ছাত্রীরা হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। ছাত্রদের দাবি, শিক্ষকরাই ক্লাসে আসতেন না, হোয়াটসঅ্যাপে উপস্থিতি নিতেন। এতে তাঁদের কোনও দোষ নেই।
এই বিষয়ে এক ছাত্র অভিযোগ করে বলেন, “আমরা প্রতিনিয়ত ক্লাস করতে চাইতাম। ক্লাসে যেতামও। কিন্তু শিক্ষকদেরই কোনও হোলদোল ছিল না ক্লাস নেওয়ার ক্ষেত্রে। তাঁরা হোয়াটসঅ্যাপে উপস্থিতি জানান দিতে বলতেন। এভাবে ক্লাস হয়না। আর আগে থেকে কিছু না জানিয়ে হঠাৎ করে পরীক্ষার আগের মুহূর্তে বলা হচ্ছে আমরা ৩০ জন পরীক্ষা দিতে পারব না।
এটা নিয়ে ভিতরে কথা বলার জন্য ঢুকতে গেলে নিরাপত্তাকর্মীরা আমাদের ধাক্কা দিয়ে বাইরে বের করে দেয়। তারপর আমরা জোর করে ঢোকার চেষ্টা করলে আমাদের গায়ে হাত দেয় ওরা”। এই ঘটনাকে অনাচার বলে দাবি করে পড়ুয়ারা যতদিন না এর ফয়সালা হচ্ছে, ততদিন লাগাতার আন্দোলন চালাবেন বলে জানিয়েছেন।
এদিকে, কর্তৃপক্ষের দাবি, ৬০ শতাংশ উপস্থিতি থাকতে হবে ক্লাসে। কিন্তু যে সমস্ত ছাত্র ছাত্রীরা আন্দোলন করছে, তাঁদের উপস্থিতির সংখ্যা খুবই কম। এই ঘটনার জেরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে বিনয় ভবনের সামনে। বিশ্বভারতীর ভবন চত্বরে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা কর্মীর সংখ্যা। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনার কোনও সমাধান সূত্র বের হয়নি বলেই জানা গিয়েছে।