জলপাইগুড়ি শহরের বাসিন্দা সুব্রত ঘোষ এই প্রসঙ্গে বলেন, “বিকেলে হঠাৎ করে অন্ধকার নেমে আসে সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন সকলেই। বিভিন্ন গাছের ডালপালাও ভেঙে পড়তে দেখা যায়।” আলিপুরদুয়ারে বাসিন্দা সৌরভ দাস বলেন, “মেঘ ডাকতে ডাকতে অন্ধকার নেমে আসে। ঝোড়ো হাওয়াও বইছিল। তখনই হঠাৎ করে শিলাবৃষ্টি শুরু হয়।”
অন্যদিকে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বুধবারের পাশাপাশি বৃহস্পতিবার দার্জিলিঙে কালিম্পঙ, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়িতে শিলাবৃষ্টি সহ ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছেন, মালদা ও দুই দিনাজপুরে বজ্রবিদ্যুৎসহ ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। আবহাওয়া দফতর এদিন জানিয়েছে, ১৭ মার্চ উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির সঙ্গে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে হাওয়া বইবে। ১৮ ও ১৯ মার্চ উত্তরবঙ্গে শুধুই বৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। তবে গোটা রাজ্যেই সব জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে কালবৈশাখী হবে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর এদিন জানিয়েছে, বুধবার শুধুমাত্র সুন্দরবনে হয়েছে ঝড় বৃষ্টি হয়েছে। জানা গিয়েছে, আজ বিকেল এবং আগামীকাল ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে। ১৭ তারিখ কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে ঝড় বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
বুধবার আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে ,দক্ষিণবঙ্গে ১৮-১৯ তারিখ বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে এবং এর পাশাপাশি ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে। দক্ষিণবঙ্গেও বিক্ষিপ্তভাবে কালবৈশাখী হবে বলে জানা গিয়েছে। কলকাতা ও উপকূলের জেলাগুলিতে ১৮ ও ১৯ তারিখ ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা সবথেকে বেশি। কালবৈশাখীতে বজ্রপাতের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। হাওয়া অফিসের তরফে সাধারণ মানুষকে সতর্ক করা হয়েছে।