এ দিন পূর্ত দপ্তরের চিফ ইঞ্জিনিয়ার (ন্যাশনাল হাইওয়ে বিভাগ) রাজীব চট্টরাজ জানান, রাজ্য সরকার কলকাতার উপরে যানজটের চাপ কমাতে নানা ইতিবাচক পদক্ষেপ করছে। কেন্দ্রের সঙ্গে একযোগে প্রয়াস চলেছে হাইওয়ে সম্প্রসারণের। প্রস্তাবিত বারাণসী-কলকাতা এক্সপ্রেসওয়ের অঙ্গ হিসেবে গঙ্গার উপর নয়া সেতু প্রসঙ্গে রাজীব বলেন, ‘এর ফলে বিদ্যাসাগর সেতুর উপর যানচলাচলের চাপ অনেকটা কমবে।’
সরকারের বক্তব্য, হালে কলকাতা বন্দরে যত কন্টেনার আসে, তার মূল চাপ পড়ে মহানগরী ও সংলগ্ন এলাকাগুলির রাস্তার উপরে। নয়া সেতু শহরের রাস্তায় এই সমস্যা অনেকটাই কমাবে। তবে এই সেতুর আর্থিক ব্যয়বরাদ্দের হিসেব এখনও হয়নি। সেতুর সঙ্গে কলকাতায় একটি রিং রোড বানানোর চিন্তাও রয়েছে।
অর্থ দপ্তরের প্রজেক্ট ক্লিয়ারেন্স কমিটির চেয়ারম্যান শ্রীকুমার ভট্টাচার্যের মতে, ‘একদিকে উড়ালপুল ও টানেল, অন্যদিকে নদী ও খালের মাধ্যমে পরিবহণ, ট্রাম-রোপওয়ে-লাইট ট্রানজিট রেল সিস্টেমের বহুমুখী বিকাশেই যান চলাচল সুগম হবে মহানগরীর বুকে।’ একই মত ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশনের এমডি আরএস কাপুরের।
কলকাতায় মার্কিন কনসাল জেনারেল মেলিন্ডা পাভেক জানিয়েছেন, রাজ্যে পরিবহণ পরিকাঠামোর বিকাশে আমেরিকার বিনিয়োগেরও সুযোগ রয়েছে। এসভিবিটিসি’র অ্যাডভাইজরি বোর্ডের চেয়ারম্যান লালা কেকে রায় মনে করেন, রাতে শহরের কোনও উড়ালপুল বন্ধ রাখা সুষ্ঠু পরিবহণ ব্যবস্থার পরিপন্থী। সংস্থার সিইও অঞ্জন রায়চৌধুরী মনে করেন, বাংলা তথা উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির দ্রুত উন্নয়নের জেরে কলকাতায় যান চলাচলের পরিমাণ আরও বাড়বে।