গত ৭ মার্চ সকালে আসানসোল সংশোধনাগার থেকে কলকাতা আসার পথে শক্তিগড়ের ‘ল্যাংচা কুটির’-এ ব্রেকফাস্টে ইচ্ছে প্রকাশ করেন অনুব্রত মণ্ডল। সেই মতো গাড়ি থামানো হয় নির্দিষ্ট দোকানে। গোরু পাচারে অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডল টেবিলে বসতেই সেখানে এসে বসেন তিন আগন্তুক। তার মধ্যে একজন ছিলেন বীরভূমে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা কৃপাময় ঘোষ।
উল্লেখ্য, ওই নেতা বরাবরই বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতার ঘনিষ্ঠ। অনুব্রত মণ্ডলকে বাংলা থেকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার দিন সকালে নেতার সঙ্গে দেখা করতে উপস্থিত হয়েছিলেন তিনি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন সুকন্যা মণ্ডলের গাড়িচালক তুফান মিদ্দাও। উল্লেখ্য, ওই দিন ওই দোকানে অনুব্রত মণ্ডল সহ পুলিশ কর্মীদের জলখাবারের বিল মিটিয়ে ছিলেন কৃপাময়ই। ওই দোকান সূত্রে খবর, ওই দিন মোট বিল হয়েছিল প্রায় ৯৯৫ টাকা।
ওই দিন কড়া পুলিশি নিরাপত্তার ঘেরাটোপ পেরিয়ে কী করে বীরভূমের ওই নেতা অনুব্রতর কাছে পৌঁছলেন তা নিয়ে প্রশ্নের মাঝেই এবার দিল্লি থেকে এল তলব। সূত্রের খবর, কৃপাময় ঘোষকে তলব করা হয়েছে দিল্লিতে।
Adhir Chowdhury: ‘এই জন্যে ঢপের কীর্তন করে যেতে চাইছিল না’, অনুব্রত প্রসঙ্গে অধীর
সাত মার্চ অনুব্রত মণ্ডলকে আরও তদন্তের প্রয়োজনে দিল্লি নিয়ে যায় ইডি। গোরু পাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) বেআইনি লেনদেনের অন্তর্তদন্তে ইডি সদর দফতরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বীরভূমের দাপুটে নেতাকে।
এরপরই অনুব্রত মণ্ডলের হিসাব বহির্ভূত আয়ের উৎস সন্ধানে তলব করা হয় হিসাব রক্ষক মণীশ কোঠারি, অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডল (Sukanya Mondal) সহ ১২ জনকে। মঙ্গলবার ম্যারাথন জেরার পর দিল্লিতে ইডির হাতে গ্রেফতার মণীশ। এদিন অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের হাজিরা দেওয়ার কথা থাকলেও তিনি হাজিরা এড়িয়েছেন। বৃহস্পতিবার ডাকা হয়েছে কৃপাময় ঘোষকে।