নালাতে পড়ে থাকা চিতাবাঘের শাবকগুলিকে দেখার পর বনকর্মীরা জানিয়েছেন, শাবক গুলির মা আশেপাশেই রয়েছে। সুতরাং শাবক গুলি যে জায়গায় রয়েছে সেখানেই যেন তাদেরকে রেখে দেওয়া হয়। রাতের বেলা তাদের মা এসে সেখান থেকে শাবকগুলিকে নিয়ে যাবে। এলাকাবাসীরা যাতে তাদের সামনে না যান, সেই বিষয়ে সতর্ক করেন বনকর্মীরা। এলাকাবাসীরা কোনওভাবেই যাতে ওই চিতাবাঘ শাবকগুলির সামনে যেতে না পারেন, বন দফতরের তরফে সেই বন্দোবস্তও করা হবে।
বুধবার সকালে আইভিল চা বাগানে নয়াকামান ডিভিশনের ১১ নম্বর সেকশনে কাজ করতে গিয়ে চা শ্রমিকেরা ৩ টি লেপার্ডের শাবককে নালায় পড়ে থাকতে দেখতে পান। কিছুক্ষণের মধ্যেই মুখে মুখে গোটা এলাকায় এই খবর ছড়িয়ে পড়ে। চিতাবাঘের শাবকগুলিকে দেখার জন্য সেখানে ভিড় জমতে থাকে। কীভাবে চিতাবাঘের শাবকগুলি সেখানে এল তা নিয়ে আলোচনা শুরু। স্থানীয় বাসিন্দাদের আশঙ্কা নতুন করে সেখানে যেন চিতাবাঘের আক্রমণ না ঘটে।
চা বাগানের শ্রমিক বিমল বরাইক এই প্রসঙ্গে বলেন, “কাজ করার সময় আমরা জানতে পারে চা বাগান সংলগ্ন নালাতে তিনটি চিতাবাঘের শাবক পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। আমরা অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলাম, কারণ সম্প্রতি এই এলাকায় চিতাবাঘের আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। পরে খবর পয়ে বন দফতরের আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে আসেন।”
অন্যদিকে সোমবার মালবাজার মহকুমার আইভিল চা বাগান থেকে স্কুটারের করে বাড়ি ফেরার সময় রাস্তার উপর একটি চিতাবাঘ ঝাঁপিয়ে পড়ে ওই ব্যক্তির উপর। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে স্কুটি নিয়ে রাস্তায় পড়ে যান ওই ব্যক্তি। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তার একদিন পরেই চিতাবাঘের শাবক উদ্ধার হওয়ায়, এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক রয়েছে। জানা গিয়েছে চিতাবাঘের আক্রমণে মৃত ব্যক্তির নাম সফিকুল ইসলাম (৫০)। মেটেলি ব্লকের বিধাননগর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় তাঁর বাড়ি। ওই ব্যক্তি চা বাগানে রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন বলে জানা গিয়েছে।