‘অপা’র ভালোবাসা নিয়ে কী বললেন বৈশাখী?
মঙ্গলবার নগর দায়রা আদালতের ভার্চুয়াল শুনানিতে পার্থ-অর্পিতার কাণ্ড এখন লোকের মুখে মুখে। শুনানি চলাকালীন ক্যামেরার দুই প্রান্তে থাকা পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের মধ্যে চলে খুনসুটি। এই ভালোবাসার সঙ্গে অনেকে আবার মিলিয়ে দিচ্ছেন শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ে ভালোবাসার সম্পর্ককে। শুনেই ফুঁসে উঠলেন বৈশাখী। এই সময় ডিজিটালকে শোভন বান্ধবী বলেন, “আমি আর শোভন তো জেলবন্দি হয়ে একে অপরকে ভার্চুয়াল হিয়ারিংয়ে ফেস করিনি কখনও। আমার আর শোভনের সঙ্গে ‘অপা’র তুলনা করা ভুল। আমার আর শোভনের ভালোবাসা আর অর্পিতা এবং পার্থর ভালোবাসা এক্সপ্রেস করা কী ভাবে এক হয়?”
পার্থ-অর্পিতার খুনসুটিতে ক্ষুব্ধ বৈশাখী
বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, “পার্থ চট্টোপাধ্যায় যে অভিযোগে অভিযুক্ত আর অর্পিতা মুখোপাধ্যায় সেখানে যদি তাঁর দোসর হয়ে থাকেন, আর তারপর যদি তাঁরা এই ধরণের কাণ্ড করেন, সত্যিই এই নিয়ে কিছু বলার নেই।” কার্যত বিরক্তির সুরে বৈশাখীর মন্তব্য, “এতগুলো মানুষের চোখের জলের কথা না ভেবে, চারিদিকে চলা হাহুতাশে পাত্তা না দিয়ে এই ধরণের ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটানো মানে বুঝতে হবে তাঁরা ক্রিমিনাল।”
বৈশাখীর আরও বক্তব্য, “পার্থ চট্টোপাধ্যায় একজন জনপ্রতিনিধি ছিলেন। এবং তাঁর যা বয়স, তাতে এই আচরণ আশা করা যায় না। এত বড় দুর্নীতির ঘটনাতেও উনি বিন্দুমাত্রও বিচলিত নন। অনেকে ভেবেছিলেন তিনি হয়ত নিজেকে শুধরাবেন কিন্তু, এই ঘটনা যদি সত্যিই ঘটে থাকে, তাহলে বুঝতে হবে পার্থ চট্টোপাধ্যায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়তেই রয়েছেন। ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন আর তাতেও তাঁর মনে কোনও দাগ কাটতে পারেনি। সবকিছুর ঊর্ধ্বে উঠে তিনি ব্যক্তিগত খুনসুটির পরিসরটাকেই বাঁচিয়ে রেখেছেন। জেলের পিছনেও।”
জেলবন্দি মানুষের ভালোবাসার অধিকার নেই?
এই সময় ডিজিটালকে বৈশাখী বলেন, “আমি মনে করি জেলবন্দি মানুষেরও ভালোবাসার অধিকার আছে, থাকাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু, যে মানুষ সত্যি কাউকে ভালোবাসে তাঁর ভালোবাসা বিভিন্ন কাজের মধ্যে দিয়ে প্রকাশ পাবে। এই ধরণের লঘু এক্সপ্রেসনে কি ভালোবাসা বোঝায়? জেলবন্দি অবস্থায় অর্পিতা খেয়েছেন কি না, পার্থ চট্টোপাধ্যায় তা নিয়ে যতখানি চিন্তিত, তার বদলে যতগুলো মানুষের চাকরি খেয়েছেন সেটি নিয়ে ভাবলে পারতেন। রাজ্যবাসী হিসেবে সেটাই কাম্য ছিল। তিনি যদি অর্পিতাকে এ কথাও বলতেন তাঁকে ভালোবেসে বিপদে ফেলে দিয়েছেন, তাও বোঝা যেত।”
‘জ্যাঠামশাইগিরি করব না’
সবশেষে বৈশাখী বলেন, “কে হার্ট সাইন দেখাল, কে কেমনভাবে কার প্রতি তাঁর ফিলিংস এক্সপ্রেস করছে আমি তা নিয়ে মতামত দেওয়ার কেউ নই। সমাজের জ্যাঠামশাইদের মধ্য়ে আমি পরি না। কে আমাকে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কথা বলে কটাক্ষ করেছে তার জন্য আমি পার্থ আর অর্পিতার সম্পর্ক নিয়ে জ্যাঠামশাইগিরি করতে বসব না। কদর্যতার প্রতিযোগিতায় আমি নামব না।”