পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন বেলা বারোটা নাগাদ তমলুক পাঁশকুড়া রাজ্য সড়কের উপর ওই ইট বোঝাই ভ্যান ও ট্রাকের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের কারণে নাবালক ভ্যানচালকের হাত সব থেকে বেশি আঘাতপ্রাপ্ত হয়। দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় হাত।
খবর পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে আসেন, তমলুক থানার পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। ওই কিশোর যাতে কোনওভাবেই প্রতিবন্ধী না হয়ে যায়, তার জন্য সবধরনের চেষ্টা করেন পুলিশকর্মীরা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই কিশোরের বাড়ি তমলুকের কলাকুণ্ডা গ্রামে।
তবে এক নাবালক ভ্যানচালক কীভাবে ইটবোঝাই ভ্যান নিয়ে জাতীয় সড়ক দিয়ে যাচ্ছিল, সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ঘাতক ট্রাকটিকে আটক করেছে পুলিশ। ঠিক কীভাবে দুর্ঘটনা ঘটেছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, উলটো দিক থেকে ধেয়ে আসা ট্রাকের বেপরোয়া গতির কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দা অরুণ মাজি বলেন, “জাতীয় সড়কের উপর ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা ঘটেছে। ইটবোঝাই মোটর ভ্যানটি পাঁশকুড়া রাজ্য সড়কের উপর দিয়ে যাচ্ছিল। উলটো দিক থেকে একটি লরি আসছিল। লরির সঙ্গে ভ্যানটির মুখোমুখি সংঘর্ষে মারাত্মক জখম হয় ওই ছেলেটা। তাঁর হাত কেটে রাস্তা পড়ে যায়। পুলিশ এসে তাঁর হাতটি রাস্তা থেকে তুলে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছে বলে শুনেছি। ওই কিশোর সুস্থ হয়ে উঠুক, এটাই চাই।”