Shantanu Banerjee SSC Scam: চাকরি থেকে সাসপেন্ড নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত শান্তনু, নোটিস বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থার – shantanu banerjee expelled tmc leader accused in scam case now suspended from his job


Recruitment Scam: দলের পর এবার চাকরি থেকেও সাসপেন্ড শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। বিপাকে নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত বহিষ্কৃত যুব তৃণমূল নেতা। তৃণমূল দল থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার চাকরি থেকেও সাসপেন্ড করা হল শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

বাবার অকাল মৃত্যুতে বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার গ্রুপ ডি পদে চাকরি পেয়েছিলেন শান্তনু। বলাগড়ের সোমড়াবাজারের মগরা বিদ্যুৎ দফতরে ছিলেন কর্মরত। কিন্তু, এদিন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে সাসপেন্ড করল বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থা ।

Shantanu Banerjee: মাসে একদিন সই করেই পুরো মাইনে! বাবার ‘দাক্ষিণ্যে’ মেলা চাকরিতেও ‘রোয়াব’ শান্তনুর

জানা গিয়েছে, নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে ২৪ মার্চ পর্যন্ত ইডি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে ব্যাঙ্কশাল আদালত। শোনা যাচ্ছে, সরকারি নিয়ম অনুসারে কোনও স্থায়ী কর্মী ৪৮ ঘণ্টার বেশি কোনও ধরনের আইনি হেফাজতে থাকলে তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়। সেই নিয়ম মতোই নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়ানোয় শান্তনুর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিল বিদ্যুৎ বন্টন দফতর।

Santanu Banerjee : ‘বালি মাফিয়া শান্তনু দিনে ডাকাটি করত’,বলছে তৃণমূল!

২০০৮ সালে বাবার অকাল মৃত্যুর পর বিদ্যুৎ দফতরে চাকরি পান শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বাবা ছিলেন হেড ক্লার্ক কিন্ত শান্তনু ন্যুনতম স্নাতক উত্তীর্ণ না হওয়ায় বাবার সমতুল পদে চাকরি পাননি, বরং গ্রুপ ডি পদে নিয়োগ করা হয় তাঁকে।

Shantanu Banerjee: বলাগড় শান্তনুকে চেনে ‘পাকা মাগুর’ নামে, অগাধ সম্পত্তির মালিককে কেন ডাকা হত এই নামে?

সম্প্রতি জানা গিয়েছে, অফিসেও চলত যুব তৃণমূল নেতা, বলাগড়ের জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের নবাবি। অফিসে তাঁর পদ অনুযায়ী অর্থাৎ গ্রুপ ডি কর্মীদের কাজ মূলত বাড়ি বাড়ি মিটার চেক করা অথবা মই নিয়ে নতুন কোন কানেকশন হলে তা জুড়তে যাওয়া। প্রথম প্রথম দু-একদিন এই কাজ করলেও পরে কোনওদিন শান্তনুকে কাজের সময় দেখা যায়নি।

Santanu Banerjee : শান্তনুকে টাকা দিলে কি সরকারি দফতরে বদলিও, মিলেছে নথি, আদালতে লিখিত দাবি ইডির

উল্লেখ্য, সহকর্মীদের দাবি, প্রভাব-প্রতিপত্তি বাড়ার পর অফিসেই আসতেন না শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। মাসের কোনও একদিন শীততপ নিয়ন্ত্রিত গাড়িতে চেপে দেহরক্ষী নিয়ে অফিসে এসে লগবুকে সই করে চলে যেতেন। কাজে না এলেও অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যেত মোটা অঙ্কের মাইনে। এদিন শুধু সাসপেনশন নয়, শান্তনুর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *