ভোটার তালিকার উপর বাড়তি জোর দেওয়া পাশাপাশি বিরোধীদেরও তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন সুব্রত। তিনি জানিয়েছেন, পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয় বিরোধীদের কোনও প্রস্তুতি নেই এবং সাগঠনিক দুর্বলতা ঢাকতে তারা অকারণে রাজ্যের মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন। এমনকী নির্বাচন কমিশনের দেওয়া ভোটার তালিকা নিয়েও বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে বলে দাবি এই তৃণমূল নেতার।
চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সেই তালিকা ধরেই পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে। বুথের সংখ্যা বৃদ্ধির ফলে কোথাও যদি কোনও ভোটারের নাম বাদ যায়, শুধুমাত্র তা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে। নতুন করে কোনও নাম তোলা হবে। তৃণমূলের অভিযোগ, এই নিয়ে বিরোধীরা অকারণে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। কোনও ভোটারের নাম বাদ গিয়েছে কিনা, দলীয় কর্মীদের তা যথাযথভাবে মিলিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে শাসকদল।
পুনর্বিন্যাসের কারণে রাজ্যে বুথের সংখ্যা বেড়েছে। সেই কারণে কিছু বৈধ ভোটারের নাম বাদ যেতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী কোন ভোটার না বাদ গেলে পার্শ্ববর্তী কোনও বুথে তিনি নাম তুলতে পারবেন। এছাড়াও কমিশন জানিয়েছে, কারও বয়স ১৭ হলে তিনিও ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবেদনের পরের বছর ১ জানুয়ারি তাঁকে ভোটাধিকার দেওয়া হবে। ১৮ বছর বয়স অবধি অপেক্ষা করতে হবে না। এই কারণে এবার ভোটার সংখ্যা ১১.৮ শতাংশ বেড়েছে। এই পরিসংখ্যান নিয়ে বিজেপি মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের।
দলের রাজ্য সভাপতি এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, বিরোধীরা অকারণে তৃণমূলের দিকে আঙুল তুলে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে। তৃণমূল কংগ্রেস নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মেনে কাজ করেছে বলে জানিয়েছেন তিনি। বিরোধীদের প্রচারের বিরুদ্ধে পালটা তৃণমূলও মানুষের কাছে সত্যিটা তুলে ধরবেন।