পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে তা ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। কী কারণে এই ঘটনা ঘটল তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ডাইনি অপবাদ দিয়ে ওই মহিলাকে খুন করা হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
মৃত মহিলার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়ির সকলে ঘুমিয়ে পড়ার পর বাইরে হয়তো ওই মহিলা বাইরে বেরিয়েছিলেন। এরপরেই এই নৃশংস ঘটনা ঘটেছে। সকালে উঠেই মহিলার মৃতদেহ পড়ে থাকার কথা জানতে পারেন পরিবারের সদস্যরা। কে বা কারা এই ঘটনা ঘটাল সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
মৃত মহিলার ছেলে লক্ষণ মান্ডি এই প্রসঙ্গে বলেন, “আমি বলতে পারছি না ঠিক কী হয়েছে। রাতের বেলা আমরা সবাই ঘুমোচ্ছিলাম। সকালের উঠে স্থানীয়দের থেকে জানতে পারি যে এমন একটি ঘটনা ঘটেছে। মা রাতে উঠে কোথায় গিয়েছিল আমি জানি না। খবর পেয়ে গিয়ে দেখলাম গলাকাটা অবস্থায় মা পড়ে রয়েছে।”
এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা কিশোর মান্ডি বলেন, “খুবই নৃংশস ঘটনা ঘটেছে। ওই মহিলাকে গলাকাটা অবস্থায় সকালে রাস্তা পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাঁর দেহের পাশে একটি টর্চও পড়েছিল। রাতে ওই মহিলা কী কারণে বাইরে বেরিয়েছিলেন বলা মুশকিল। তবে আগে এখানে এই ধরনের কোনও ঘটনা ঘটেনি। আমরা সকলেই খুব আতঙ্কিত বোধ করছি।” অন্যদিকে কী কারণে এই ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এই পিছনে তন্ত্রমন্ত্র বা কালোজাদু সংক্রান্ত কুসংস্কারের যোগ রয়েছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখবেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।