জানা গিয়েছে, আলিপুরদুয়ারের মাদারিহাট থানা এলাকার বাসিন্দা সামসের আলমের সঙ্গে দুর্গা মল্লিকের দীর্ঘদিন থেকে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে বলে অভিযোগ। অর্পিতাদের বাড়িতেই একসময় ভাড়াটিয়া হিসাবে থাকতেন সামসের। বিভিন্ন সময়ে টাকা পয়সা দিয়েও সহযোগিতা করতেন। আর এই সুযোগে অর্পিতার মার সাথে সামসের আলমের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
সম্প্রতি বিষয়টি জানতে পারে অর্পিতা বলে খবর। আর এরপরই তাকে খুনের ছক কষা হয়। সোমবার বিকেলে বিমলবাবু তাঁর দাদা বলরামের বাড়িতে হঠাৎ চিৎকার শুনতে পান। এরপর সেখানে গিয়ে দেখেন, তাঁর বউদি অর্থাৎ অর্পিতার মা দুর্গা মল্লিক এবং সামসের আলম নামে এক ব্যক্তি মিলে অর্পিতাকে শাল কাঠের বাটাম দিয়ে মারধর করছেন। আর ভাইঝি অর্পিতা রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন।
চিৎকার চেঁচামেচি শুনে প্রতিবেশীরাও সেখানে চলে আসেন। তাঁদের সহযোগিতাতেই অর্পিতাকে চিকিৎসার জন্য দ্রুত চ্যাংরাবান্ধা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে অন্যত্র রেফার করা হয়। মঙ্গলবার শিলিগুড়ির এক বেসরকারি হাসপাতালে অর্পিতার মৃত্যু হয়েছে। মায়ের সম্পর্ক জেনে ফেলাতেই সামসের ও দুর্গা মিলে অর্পিতাকে বাটাম পিটিয়ে খুন করেছে, এমনই দাবি মৃতার কাকা সহ স্থানীয় বাসিন্দাদের। এ খবর চাউর হতেই গ্রামে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে বলে মেখলিগঞ্জ থানার তরফে জানানো হয়েছে।